উচ্চ আদালতের বিচারক নিগে অনাচার ও দুর্নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৪’’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারকদের প্রচণ্ড ক্ষমতাশালী করা হয়েছে। তবে বিচারকদের অনিয়ম ও অযোগ্য নিয়োগের মাধ্যমে উচ্চ আদালত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও জনগণকে নির্যাতনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।’’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, অতীতে উচ্চ আদালতে এমন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যারা নিম্ন আদালতে বিচারক হওয়ার যোগ্যতাও অর্জন করেননি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামীম হাসনাইন ও বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীনসহ আরও অনেকে। তারা বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমান পদ্ধতির ব্যর্থতা এবং আইনের মাধ্যমে নতুন কাঠামো তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘আমরা একটি ফাইনাল ড্রাফট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমাদের উদ্দেশ্য উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তি তৈরি করা।’’ তিনি জানান, বর্তমান সিস্টেম কার্যকর নয় এবং এটিকে আইনের মাধ্যমে সংস্কার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে দ্রুত বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তবে ভবিষ্যতে যাতে সঠিক নিয়মে যোগ্য বিচারক নিয়োগ দেওয়া যায়, সেজন্য আমরা একটি কার্যকর আইন প্রণয়ন করার চেষ্টা করছি।’’
সভায় বিচারক নিয়োগের পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, বেঞ্চ গঠন এবং আপিল বিভাগে বিচারক পাঠানোর বিষয়েও অনিয়মের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘‘আমাদের ভুল হতে পারে। তবে কিছুই না করার চেয়ে কিছু করা ভালো। একটি ভালো আইন প্রণয়ন এবং ৩০-৪০ জন দক্ষ বিচারক নিয়োগের মাধ্যমে উচ্চ আদালতের মানোন্নয়ন সম্ভব হবে।’’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।