প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৫
বঙ্গোপসাগরে অমাবস্যা ও নিম্নচাপের যুগপৎ প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে সাগর। এর ফলে দেশের উপকূলবর্তী ১৫টি জেলা এবং সংলগ্ন দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
শনিবার (২৬ জুলাই) বিশেষ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অমাবস্যা ও নিম্নচাপের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-৩ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে সরে গিয়ে গত মধ্যরাতে পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন ঝাড়খন্ড এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এই নিম্নচাপের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে, ফলে সাগরে সৃষ্ট হচ্ছে ঝোড়ো হাওয়া। উপকূলবর্তী জেলা এবং সাগর ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে এই ঝোড়ো হাওয়া, যা জনজীবনে প্রভাব ফেলতে পারে।
এমতাবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এই সতর্ক সংকেত অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। এটি মৎস্যজীবীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সমুদ্রের পরিস্থিতি বর্তমানে অত্যন্ত অনিরাপদ। তাই উপকূলবাসীদের সচেতন থাকতে এবং প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগকে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে সম্ভাব্য জলোচ্ছ্বাস ও প্লাবনের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায়।