বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আজ বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ১৭০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এর কেন্দ্র ছিল ২১.৪° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। দমকা হাওয়ার গতি ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি জাহাজ ও নৌযান চলাচলে সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস থেকে জেলেদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করলে এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।