কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে হাত-পা বাঁধা যুবক উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক
আনোয়ার হোসেন আনু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৩রা অক্টোবর ২০২৪ ১২:০৫ অপরাহ্ন
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে হাত-পা বাঁধা যুবক উদ্ধার

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জসিম উদ্দিন (২৩) নামের এক যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড মাঝিবাড়ি সংলগ্ন সৈকত থেকে স্থানীয় জেলেরা তাকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান।


স্থানীয় জেলেদের বরাত দিয়ে জানা যায়, তারা যখন সমুদ্র থেকে মাছ ধরে তীরে ফিরছিলেন, তখন তারা জসিমের চিৎকার শুনতে পান। "বাঁচাও, বাঁচাও" বলে চিৎকার করছিলেন তিনি। প্রথমে তাদের মনে হয়েছিল, হয়তো তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন, কিন্তু কাছে গিয়ে দেখেন তিনি সৈকতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছেন এবং শরীরে পানি ছুঁই ছুঁই অবস্থায় রয়েছে। দ্রুততার সাথে তাকে উদ্ধার করা হয়।


জসিম উদ্দিনের বাড়ি মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবদি ইউনিয়নের কাঠালতলী গ্রামে। তার বাবার নাম শাহ আলম। হাসপাতালে নিয়ে আসা ভ্যান চালক কবির হোসেন জানান, জসিমের পরিচয় জানা মাত্র তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।


জসিমের মা বিলকিস বেগম জানান, তার ছেলে গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে জসিম বাড়িতে আসার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠেন এবং এরপর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। "মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল," বলেন তিনি। বিলকিস এখন শুনেছেন যে তার ছেলে কুয়াকাটা হাসপাতালে আছে এবং তিনি তাকে নিতে আসছেন।


কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুমসাদ সায়েম পুনম জানান, "সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অচেতন অবস্থায় যুবকটি হাসপাতালে আনা হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলাপাড়ায় পাঠানো হবে। বর্তমানে তিনি পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।"


জসিমের এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে এবং পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। জসিমের নির্যাতনের কারণ ও অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ শুরু করেছে। জনসাধারণের মধ্যে এই ঘটনার ব্যাপারে ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।