খানাখন্দের সড়কে ভোগান্তি লাল শাপলার পর্যটকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: রবিবার ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:০০ অপরাহ্ন
খানাখন্দের সড়কে ভোগান্তি লাল শাপলার পর্যটকদের

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা শাপলার বিলে দর্শনার্থীদের যেতে সময় ও চরম ভোগান্তি বাড়াচ্ছে ভাঙাচোরা আর খানাখন্দে ভরা সড়ক। পথের কষ্ট ভুলিয়ে দিচ্ছে নয়নাভিরাম শাপলার বিলের সৌন্দর্যকে। তারপরেও বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত সাতলা ও আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা গ্রামের সবুজের বুকে লাল এ শাপলার বিলে যেতে আগ্রহের কমতি নেই প্রকৃতি প্রেমীদের। স্বচ্ছ পানিতে নৌকায় শাপলার বিলে ঘুরে বেড়ানোর সাথে আশপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীদের কাছে টানছে। 


তবে সংস্কারের মাধ্যমে সড়কের ভোগান্তি লাঘবের পাশাপাশি বরিশাল থেকে উজিরপুরের সাতলা বাজার পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস চালুর দাবি করেছেন প্রকৃতি প্রেমীরা। নতুবা সময়ের সাথে সাথে এ শাপলার বিলকে ঘিরে পর্যটকবিমুখ হয়ে পরার আশংকা রয়েছে। 


শাপলার বিলে পর্যটকদের নিয়ে নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা ফজলুল হক বলেন, শুধুমাত্র সড়কের বেহাল দশার কারণে দিন দিন এ নয়নাভিরাম শাপলার বিলে আসতে পর্যটকদের অনীহা সৃষ্টি হচ্ছে। যারা একবার এ বিলে এসে ঘুরে যান, তারা উজিরপুর উপজেলার ভেতর দিয়ে আর এখানে আসতে চায়না। 


তবে যারা একবার বিল ও শাপলার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন, তারা পথের কষ্টকে নিমেশে ভুলে যাচ্ছেন বলে জানিয়ে অপর মাঝি মোকতার হোসেন বলেন, সড়কের কারণেই শাপলার বিলে পর্যটকদের আনাগোনা অন্য সময়ের চেয়ে এবার কিছুটা কম। আর যারাই উজিরপুরের ভেতর দিয়ে শাপলার বিলে আসছেন, তারাই সড়কের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন। 


স্বামীর সাথে শাপলার বিলে আসা সিমা আহম্মেদ নামের এক পর্যটক বলেন, থ্রি-হুইলার বা ছোট যানবাহনে আসতে কতোটা কষ্ট হতো তা জানি না। তবে ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেলে আসতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। পুরোটা পথ পরে যাওয়ার ভয়ছিলো। তবে এখানকার ব্যবসায়ী ও মাঝিদের আন্তরিকতা আর শাপলা বিলের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ পথের সব কষ্টকে হার মানিয়ে দিয়েছে। 


উজিরপুরের হাবিবপুর, হারতা ও শাতলা এলাকার অসংখ্য ব্যবসায়ীরা জানান, শুধু পর্যটন নয়, কৃষি ও মৎসনির্ভর এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যতো দ্রুত সম্ভব সড়কের সংস্কার করা হোক। যাতে যাত্রীসহ পণ্যবাহী যানবাহন নিরাপদে চলাচল করতে পারে। 


শাপলার বিলে পর্যটকদের সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটি প্রায় ২৪ ফুট প্রশস্ত করার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া আছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মোঃ জামাল উদ্দিন জানান, বর্তমানে উজিরপুর-সাতলা সড়কের পাঁচ কিলোমিটার সংস্কারের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়েছে। এছাড়া বাকি খানাখন্দ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মেরামত করা হবে।