দশ বছরে আমূল পরিবর্তন এসেছে কুয়াকাটায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফরাজী মো.ইমরান, জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: রবিবার ২১শে মার্চ ২০২১ ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
দশ বছরে আমূল পরিবর্তন এসেছে কুয়াকাটায়


ফরাজী মো.ইমরান 

চিত্রনাট্য জগতের এক পরিচিত নাম গৌতম সাহা। বর্তমানে কোরিওগ্রাফার হিসেবে কাজ করছেন। এর আগে তিনি ‘পাগলা হাওয়া’ ও ‘মকবুল’সহ প্রায় অর্ধশতাধিক নাটকে পার্শ্বভিনেতা হিসেবে কাজ করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই অভিনেতা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম পাশের বেঞ্চিতে বসেছিলেন। এমন সময় ক্যামেরা হাতে তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন আমাদের প্রতিবেদক। গৌতম সাহাকে দেখে চিনে ফেলায় প্রতিবেদকের সঙ্গে আলপচারিতায় পরিচয় হয় তাদের মধ্যে।



গৌতম সাহা বলেন, ১০ বছরে কুয়াকাটার আমূল পরিবর্তন এসেছে। দশ বছর আগে তিনি কুয়াকাটায় এসেছিলেন। তখন এমন উন্নত ছিলনা। মাওয়াসহ ৭/৮ টা ফেরি পার হয়ে এসেছিলেন কুয়কাটায়। অনেক সময়ও লেগেছিলো এবং বিরক্ত বোধও হয়েছিলো। এবার আসতে কোন সমস্যা হয়নি।



রাত দশটায় নারায়নগঞ্জ থেকে এসি বাসে উঠেছেন। ভোর চারটায় এসে পৌছেছেন কুয়াকাটায়। তারা ১৩ জন বন্ধু মিলে বেশ হৈ-চৈ এর মধ্যেই পৌঁছেছেন কুয়াকাটায়। মূল কথা যোগযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে।



আলাপচারিতায় তিনি জানান, কুয়াকাটার সার্বিক পরিবেশ মোটামুটি ভালো। তিনি চর বিজয়, ফাতরার বন, লেম্বুর চর ও শুটকি পল্লীসহ বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থানে ঘুরেছেন। তার বেশ ভালই লেগেছে। তবে কুয়াকাটা সৈকতের ব্যবস্থাপনা তার বেশি একটা ভালো লাগেনি। যততত্র ময়লা আবর্জনায় ভরা সৈকত। বিশেষ করে ফিস ফ্রাই এলাকায়ই মাছের অবশিষ্ট অংশে ভরা। এছাড়া সৈকতের বেশ কয়েকটি স্থান থেকেও ময়লা পানির দুর্ঘন্ধ পেয়েছেন।



সবচেয়ে বেশি বিরক্ত বোধ করেছেন সৈকতে মটোরসাইকেল চালক এবং ক্যামেরাম্যানদের আচরনে। তবে সৈকতের নির্মল হাওয়া এবং সাগরের শো-শো শব্দ তাকে মুগ্ধ করেছে। বিশেষ করে তিনি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছেন কুয়াকাটা সৈকতের পূর্ব পাশের বালিয়ারিতে বালু দ্বারা তৈরী বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য দেখে।



এছাড়া সূর্যদয় সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য তিনি কোন দিন ভুলতে পারবেননা বলেও জানান। ভালো লাগা থেকে তিনি এক পর্যায় বলেই ফেলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে কুয়াকাটার সৈকত অনেক ভালো।



তবে সী-বিচের পরিবেশ আরো সুন্দর করতে তিনি কুয়কাটা পৌরসভাসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানিয়েছেন।