ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গাজা উপত্যকায় আটক থাকা ৩৪ বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের টানা ১৫ মাসের অভিযানে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির পর এই পদক্ষেপ এসেছে।
সোমবার সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এবং বার্তাসংস্থা এএফপি ও রয়টার্স হামাসের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে নারী, শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ বন্দিরা থাকবেন। তবে এই চুক্তি ইসরায়েলের স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের ওপর নির্ভর করছে।
হামাস জানিয়েছে, বন্দি বিনিময়ের এই প্রথম পর্যায়ে তারা ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে আগ্রহী। গোষ্ঠীটি মনে করে, এই বিনিময়ের মাধ্যমে মানবিক সংকট কিছুটা লাঘব হবে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, হামাস এখনো মুক্তি পেতে পারে এমন বন্দিদের তালিকা জমা দেয়নি।
রয়টার্স জানিয়েছে, কাতারে মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি আলোচনার সময় এই বন্দি বিনিময়ের প্রস্তাব উঠে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে। আগামী ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার আগে এই আলোচনা থেকে অগ্রগতির আশা করছে বাইডেন প্রশাসন।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি অভিযানকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। হাসপাতালসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় মানবিক বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে। জাতিসংঘ বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজার হাসপাতালগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
হামাসের এই বন্দি মুক্তির সিদ্ধান্ত যুদ্ধবিরতির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত সম্মতি না আসা পর্যন্ত এই আলোচনা ফলপ্রসূ হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।