প্রকাশ: ২ জুলাই ২০২৫, ১৭:৫৪
ইয়াঙ্গুনে ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেল বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। আজ বুধবার এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে শক্তিশালী মিয়ানমারকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছে ঋতুপর্ণা চাকমাদের নেতৃত্বাধীন দল। এই জয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দেশের নারী ফুটবলের জন্য এক বিশাল অর্জন। মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরেই এশিয়ার শক্তিশালী দলগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত এবং ২০১৭ সালে অলিম্পিক বাছাইয়ে তারা বাংলাদেশকে ৫-০ গোলে পরাজিত করেছিল। সেই স্মৃতি ম্লান করে এবার তাদেরই ঘরের মাঠে হারিয়ে দিয়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা।
বাংলাদেশের এই জয়ের পেছনে দলীয় প্রচেষ্টা ছিল চোখে পড়ার মতো। রক্ষণভাগ ছিল সুশৃঙ্খল, মাঝমাঠে নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে, আর আক্রমণে ছিল কার্যকর সমন্বয়। ম্যাচের প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ, পরে মিয়ানমার সমতায় ফিরলেও দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ এক গোলে পুনরায় এগিয়ে যায় বাংলাদেশ এবং সেই লিড ধরে রেখেই ম্যাচ শেষ করে।
এই জয়ের ফলে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন পূর্ণ তিন। গ্রুপের অন্য দুই দল তুর্কমেনিস্তান ও বাহরাইনের বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচ হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল পর্ব নিশ্চিত করার লড়াই। বাংলাদেশের সামনে এখন বড় সুযোগ—পরবর্তী ম্যাচে জিতলেই প্রথমবারের মতো নারী এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলবে তারা।
নারী ফুটবলে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা শুধুমাত্র খেলার মাঠেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি দেশের ক্রীড়া সংস্কৃতির একটি গর্বের অধ্যায় হয়ে উঠছে। নারী খেলোয়াড়দের এই অবদানে নতুন প্রজন্ম আরও উৎসাহিত হবে বলেই মনে করছেন ক্রীড়া বিশ্লেষকরা।
এই জয় দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন আলো ছড়িয়েছে। ফুটবল ফেডারেশন এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দলকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং আশ্বাস দিয়েছে ভবিষ্যতেও এই ধরনের পারফরম্যান্সে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ফুটবলপ্রেমীদের প্রত্যাশা, তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষেও জয় পেয়ে ইতিহাস রচনা করবে বাংলাদেশ নারী দল।
শেষ ম্যাচে একটি জয়ই বাংলাদেশের কাঁধে এনে দেবে এশিয়া কাপের টিকিট। এই সম্ভাবনায় দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আনন্দ আর প্রত্যাশার ঢেউ। এখন শুধু অপেক্ষা, আরও একটি গৌরবময় অধ্যায় লেখার।