প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫, ১১:৩৫
কলম্বো টেস্টে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রত্যাশার চেয়ে কম রানেই থামল বাংলাদেশ দল। শুরুটা যেমন বাজে ছিল, শেষটাও তেমন হতাশাজনকই হয়েছে। তবে ইনিংসের শেষদিকে লড়াই করেছেন তাইজুল ইসলাম। তার ৩৩ রানের সংগ্রহে ভর করেই বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থামে ২৪৭ রানে। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ওপেনার সাদমান ইসলাম, যিনি কিছুটা সময় ধরে খেললেও ইনিংসটা বড় করতে পারেননি।
প্রথম দিনে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫ রানের মাথায় ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের বিদায়ে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর মুমিনুল হক ও সাদমান মিলে কিছুটা স্থিতি আনলেও মুমিনুল ২১ রান করে ফিরে যান। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে দ্রুত আরও দুটি উইকেট হারালে ব্যাকফুটে চলে যায় দল। শান্ত ৭ রান করে এবং সাদমান ৪৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান কাছাকাছি সময়ে।
পরবর্তী সময়ে ইনিংস সামাল দেওয়ার দায়িত্ব নেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। তারা ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেন এবং পঞ্চম উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়েন। লিটন কিছুটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও ৩৪ রানে ফিরে যান দুর্ভাগ্যজনকভাবে। এরপর ধীরগতির ইনিংস খেলেন মুশফিক, যিনি একপ্রান্তে থেকে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
নিম্ন মধ্যক্রমে মেহেদি হাসান মিরাজ ৩১ রান করে আউট হন। তার ব্যাটে কিছুটা লড়াকু মনোভাব দেখা গেলেও ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। নাঈম হাসান ২৫ রান করে ফিরে গেলে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড থেমে যায় ২৪৭ রানে। তবে ইনিংসের শেষভাগে তাইজুলের ৬০ বলে করা ৩৩ রানের সাহসী ইনিংস কিছুটা সম্মান বাঁচায় দলের জন্য।
এবাদত হোসেন দিন শুরু করেন ৫ রানে অপরাজিত থেকে, তবে ব্যক্তিগত স্কোরে মাত্র ৩ রান যোগ করেই ফিরতে হয় তাকে। ফার্নান্দোর দারুণ এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর তাইজুল শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হলে বাংলাদেশ অলআউট হয়।
এই ইনিংসে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং গভীরতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। শীর্ষ ও মধ্যক্রম ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা এবং বড় জুটি গড়তে না পারা বাংলাদেশের স্কোরকে সীমিত করে রাখে। লড়াকু হলেও ইনিংসটি প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার জন্য সুবিধাজনক পরিস্থিতিই সৃষ্টি করেছে।