সিলেটে টাইগারদের হারিয়ে বিপক্ষে ইতিহাস গড়লো জিম্বাবুয়ে

ম্যাচের শুরুতেই টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ে সংগ্রহ করে ২৭৩ রান, ফলে প্রথম ইনিংসে ৮২ রানে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ২৫৫ রান করলেও এই সংগ্রহ জিম্বাবুয়ের জন্য পর্যাপ্ত ছিল জয় ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে একমাত্র লড়াকু ইনিংস খেলেন জাকের আলী। তার ৫৮ রানের ইনিংস টাইগারদের একটা সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেয়, কিন্তু দলীয় ব্যাটিং বিপর্যয় থামাতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে মুজারাবানির আগুনে বোলিংয়ে একের পর এক উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

বৃষ্টির কারণে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হয় সকাল ১১টায়। শুরুতেই শান্ত আউট হন মাত্র দ্বিতীয় বলে। এরপর মিরাজও বেশি কিছু করতে পারেননি। একে একে সাজঘরে ফেরত যান হাসান, খালেদ এবং শেষ পর্যন্ত জাকেরও।

জিম্বাবুয়ের হয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন ব্লেসিং মুজারাবানি। তিনি দুটি ইনিংস মিলিয়ে ৯টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা পারফর্মার হয়ে ওঠেন। তার বোলিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। মাসাকাদজা, নুচি এবং এনগারাভাও উইকেট শিকার করে দলকে সহায়তা করেন।

শেষ পর্যন্ত ১৭৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। এই জয়ে ১-০ তে সিরিজে এগিয়ে গেলো ক্রেইগ আরভিনের নেতৃত্বাধীন জিম্বাবুয়ে।

টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের শক্তি পুনরুদ্ধারে এটি হতে পারে রোডেশিয়ানদের নতুন পথচলা। অন্যদিকে টাইগারদের জন্য এটি ভাবনার বিষয়, কারণ হোম কন্ডিশনে তারা হারলো এক সময় দুর্বল বিবেচিত একটি দলের বিপক্ষে।