চরমোনাই পীর ও জামায়াত আমিরের ঐক্যের বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২১শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৬:২৬ অপরাহ্ন
চরমোনাই পীর ও জামায়াত আমিরের ঐক্যের বার্তা

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইর পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের একান্ত সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় চরমোনাই দরবার শরিফে তাদের মধ্যে এই সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাতের সময় দুই নেতা কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন এবং পরবর্তীতে তারা একটি বৈঠকে মিলিত হন।  


বৈঠকের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দুই নেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা কয়েকটি রাজনৈতিক দল দ্বারা ব্যবহৃত হয়ে এসেছি। কিন্তু আর এমনটি হতে দিতে চাই না। তারা আল্লাহর রাস্তায় দ্বীনের পথে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এছাড়া আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ঐক্যের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশার কথাও জানান।  


মূলত বরিশালে জামায়াতে ইসলামীর জেলা ও মহানগর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে আসেন ডা. শফিকুর রহমান। এর আগে সকালে তিনি বরিশালে জামায়াতের নারী প্রতিনিধিদের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনেও প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন তিনি।  


বৈঠকের সময় দুই নেতা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতারণার শিকার হওয়া এবং সঠিক নেতৃত্বের অভাব নিয়ে আলোচনা করেন। তারা দ্বীনের পথের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাব ও কার্যক্রম পরিচালনার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। ইসলামী ঐক্য ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।  


নেতারা বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সকল ইসলামী দলের মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা দ্বীনের পথে কাজ করে জনগণের জন্য একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে চায়। বিশেষত, তারা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি শক্তিশালী ইসলামী ঐক্যের প্রত্যাশা করেন।  


বৈঠকের মাধ্যমে দুই নেতা যে বার্তা দিয়েছেন তা ইসলামী রাজনীতির সমর্থকদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে পারে। দ্বীনের পথে কাজ করার এই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনবে বলে অনেকের বিশ্বাস।  


ডা. শফিকুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর লড়াই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে চরমোনাই পীরও দ্বীনের পথে জনগণকে একত্রিত করার জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন।  


এই বৈঠক ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভবিষ্যৎ ঐক্যের সম্ভাবনাকে আরো জোরালো করেছে। এর মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষও ইসলামী নেতৃত্বের প্রতি তাদের আস্থা পুনঃস্থাপন করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।