সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রবেশের ক্ষেত্রে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বর্তমানে, সেন্টমার্টিনে যেতে হলে শুধুমাত্র স্থানীয় বাসিন্দাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখিয়ে অনুমতি মিলছে। বাইরের কোন পর্যটক বা যাত্রী সেন্টমার্টিনে যেতে পারছেন না। তবে, গবেষণা কাজে এনজিওকর্মী এবং সংবাদ সংগ্রহে আগত সাংবাদিকরা বিশেষ অনুমতি নিয়ে দ্বীপে যেতে পারবেন।
এনআইডি যাচাইয়ের মাধ্যমে চলতি মাসে সেন্টমার্টিনে প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, যা টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। যদিও সরকারি ঘোষণায় নভেম্বর মাসে পর্যটকদের জন্য দ্বীপ ভ্রমণ খোলার কথা ছিল, কিন্তু বাস্তবে এখনো কোন পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়নি। স্পিডবোটও বন্ধ রয়েছে, এবং সার্ভিস ট্রলার বা যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল করলেও, সেগুলোর জন্য এনআইডি যাচাইয়ের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এই নতুন বিধিনিষেধের কারণে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা বাদ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। রাজশাহী থেকে সপরিবারে সেন্টমার্টিন বেড়াতে আসা করিম খান হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, "অনেকেই আমাদের মতো আশা নিয়ে এসেছেন, আমরা চাই এই নিয়ম দ্রুত শিথিল করা হোক, যেন অন্যদেরও একই হতাশা বয়ে না নিয়ে আসতে হয়।"
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন, অক্টোবর মাস থেকেই প্রশাসন বাইরের কাউকে দ্বীপে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা নুর কামাল জানান, "এখন আমাকে নিজের গ্রামে যেতে হলে এনআইডি দেখাতে হচ্ছে, এবং কোস্টগার্ডের সদস্যরা যাত্রীদের এনআইডি যাচাই করছেন।"
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, "এখন পর্যটক বা বাইরের কোন ব্যক্তিকে সেন্টমার্টিনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তবে, জরুরি প্রয়োজনে গবেষণা কাজ বা সংবাদ সংগ্রহের জন্য লিখিত অনুমতি নিয়ে যেতে পারবেন।"
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, পর্যটকদের জন্য সেন্টমার্টিনে যাওয়ার রুট পুনরায় খুলবে, তবে তা এখনও অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।