রাজনৈতিক দলের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে সরকারের অবস্থান এখনও অনিশ্চিত বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। সোমবার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে এবং সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আজাদ মজুমদার জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। এ বিষয়ে সরকারের নীতি কেমন হবে, তা এখনও আলোচনা পর্যায়ে রয়েছে।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতি অপসারণের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এই বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে এবং সেখানে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেগুলো পরে জানানো হবে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, সাম্প্রতিক সময়ে তিনটি নির্বাচনের ফলাফল অবৈধ ঘোষণা নিয়ে আদালতে একটি রিট আবেদন জমা পড়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম এই রিটটি দায়ের করেছেন, যাতে আওয়ামী লীগসহ মোট ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার দাবি জানানো হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত সরকার বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা আসেনি, যা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াটি দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা এবং সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াটি দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং নাগরিক অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ফলে, এই বিষয়টি নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে ছাত্র সমাজের মধ্যে।
এই অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোর উপর সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা এবং আগামী দিনগুলোতে কি সিদ্ধান্ত আসবে, তা জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।