ঢাকায় তরুণ প্রজন্মের জন্য এআই প্রযুক্তির উদ্ভাবন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৩রা অক্টোবর ২০২৪ ০৬:২৪ অপরাহ্ন
ঢাকায় তরুণ প্রজন্মের জন্য এআই প্রযুক্তির উদ্ভাবন

তরুণ প্রজন্মের দৈনন্দিন জীবনের সৃজনশীলতা, বুদ্ধিমত্তা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এআই (Infinix AI) চালু করেছে ট্রেন্ডি টেক ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। এটি আধুনিক ভার্চুয়াল সহকারী ফোলাক্সের মাধ্যমে কাজ করে, যা জিপিটি-৪০, জেমিনি এবং ইনফিনিক্সের নিজস্ব এআই মডেলের সমন্বয়ে তৈরি।


নতুন প্রযুক্তিটি ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা প্রদান করে, যেখানে টেক্সট, ভয়েস বা ইমেজ ইনপুটের মাধ্যমে রিয়েল-টাইম ফিডব্যাক ও ব্যক্তিগত সুপারিশ পাওয়া যায়। ফোলাক্স, সৃজনশীল সহকারীর ভূমিকা নিয়ে, দৈনন্দিন কাজকে সহজ করে এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।


এআই∞-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো লাইভ টেক্সটস, যা ছবি ও নথি থেকে মুহূর্তের মধ্যেই তথ্য সংগ্রহ করে এবং সেটিকে সংক্ষিপ্ত করে। শিক্ষার্থী, প্রফেশনালস এবং গবেষকদের জন্য এটি উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর একটি কার্যকরী উপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। লাইভ টেক্সটস ডেটাকে দ্রুত ও কার্যকরভাবে পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম।


সৃজনশীল কাজের জন্য এআই ম্যাজিক ক্রিয়েট টুল ব্যবহারকারীর ধারণাকে বাস্তবে রূপান্তর করতে সহায়তা করে। এই টুলটি আইডিয়া জেনারেশন এবং সেটি পরিমার্জনের প্রক্রিয়া নির্দেশ করতে পারে, এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্ট, ভিডিও বা ছবির ক্যাপশন তৈরিতেও সহায়তা করে।


ভ্রমণপিপাসু ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ভিজ্যুয়াল লুক আপ∞ ফিচারটি নিদর্শন, দিকনির্দেশনা, ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে।


ইনফিনিক্স এআই∞ এর অন্যান্য আকর্ষণীয় ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে এআই ওয়ালপেপার, স্মার্ট কাটআউট এবং এআই ইরেজার, যা ইমেজ এডিটিংকে আরও উন্নত করে। স্মার্ট সার্চের মাধ্যমে দ্রুত তথ্য খুঁজে বের করার সুবিধা পাওয়া যায়।


এআই∞ প্রযুক্তিটি অ্যাপ, ক্লাউড পরিষেবা এবং ভয়েস রিকগনিশনকে একত্রিত করে একটি ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেম তৈরি করেছে, যা ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে উন্নত করে। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে উন্নতির পর, এই টুলটি ব্যবহারকারীদের রিয়েল-টাইমে ব্যক্তিগত ফিডব্যাক দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করেছে।


ইনফিনিক্সের ব্যবস্থাপক তুয়ানওয়ে শি বলেন, “এআই ১০০টিরও বেশি ভাষা সমর্থন করে, যা আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার ভাষা ও কমিউনিকেশনের ফাঁক বন্ধ করতে সহায়ক হবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তি সৃজনশীলতা, উৎপাদনশীলতা ও বৈশ্বিক সংযোগকে একত্রিত করছে।” 


এই নতুন প্রযুক্তি তরুণদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে, তাদের সৃজনশীলতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।