হিলিতে শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, নিজস্ব প্রতিনিধি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: রবিবার ২রা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৬:১৯ অপরাহ্ন
হিলিতে শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় ৫৩তম জাতীয় শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। রোববার সকালে বাংলাহিলি পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে উপজেলা শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহমদ আহসান হাবিব ভলিবল খেলার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে একাডেমিক সুপারভাইজার সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাহিলি পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা কামাল, পাউশগাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিম রেজাসহ স্থানীয় শিক্ষক ও ক্রীড়া সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।  


শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ইভেন্টের খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ভলিবল, ব্যাডমিন্টন একক ও দ্বৈত, সাইক্লিংসহ নানা প্রতিযোগিতা রয়েছে। প্রথম দিন ভলিবল খেলায় উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাউশগাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আর রানার্সআপ হয়েছে পাউশগাড়া ফাজিল মাদ্রাসা। ব্যাডমিন্টন এককে বালিকাদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রায়হানা তাসলিমা এবং দ্বৈতে রায়হানা তাসলিমা ও শানু আকতার বিজয়ী হয়েছে।  


বালকদের ব্যাডমিন্টনে এককে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মো. আইয়ুব খান, আর দ্বৈতে বিজয়ী হয়েছে মো. হাসিব ও রাফিউল ইসলাম। সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় বালিকাদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোরশেদা আক্তারা এবং বালকদের বিভাগে মাহফুজুর রহমান সবুজ বিজয়ী হয়েছে।  


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহমদ আহসান হাবিব জানান, ২ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতা চলবে। বিভিন্ন ইভেন্টের খেলায় বিজয়ীদের মধ্যে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পুরস্কার বিতরণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সুস্থ বিনোদন পাবে এবং তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটবে।  


উপজেলা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা কমিটির আহ্বায়করা জানান, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায় থেকে মেধাবী খেলোয়াড় খুঁজে বের করার সুযোগ তৈরি হবে। এসব প্রতিভাবান শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারবে।  


অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা। তারা মনে করেন, ক্রীড়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলাবোধ ও দলীয় চেতনা বৃদ্ধি পায়, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।  


স্থানীয় অভিভাবকরাও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতা নিয়মিত আয়োজন করা হলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও আগ্রহী হবে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবে।