টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের ফিরোজ মিয়া তার স্ত্রী জাকিয়ার উপর প্রতিশোধ নিতে নির্মম কাণ্ড ঘটিয়েছেন। দুই দিন আগে ঢাকার আশুলিয়ার গাজীরচর এলাকায় তিনি স্ত্রীর ডান হাত কেটে ফেলেন। আহত জাকিয়াকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায় এবং ফিরোজকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১৬ এপ্রিল রাতে স্বামীর পরকীয়ার সন্দেহে জাকিয়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফিরোজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন। এ ঘটনায় ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় মামলা করেন, যার ফলে পুলিশ জাকিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে জাকিয়া আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন।
জাকিয়ার কর্মস্থলের খবর পেয়ে প্রতিশোধ নিতে ফিরোজ যোগাযোগ স্থাপন করেন এবং পুনরায় সংসার শুরু করেন। তবে মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রতিশোধ। সুযোগ বুঝে তিনি স্ত্রীর উপর হামলা চালিয়ে ডান হাত কেটে ফেলেন এবং বাম হাতেও গুরুতর আঘাত করেন।
জাকিয়ার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এবং ফিরোজকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় আহত জাকিয়ার বাবা জামিল বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে এলাকাবাসীর মধ্যে এই ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বলছেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের এমন ভয়াবহ রূপ নেয়া উচিত নয়। সমাজে এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে জন্য কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ফিরোজ ও জাকিয়ার সংসারে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে, যার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবার ও এলাকাবাসী। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।