বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখনই নয়, ন্যূনতম সংস্কারের পর নির্বাচন দিতে হবে। এতে দেশের জন্য মঙ্গল হবে এবং সমস্যাগুলো সমাধানের পথ সুগম হবে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে নির্বাচিত সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বেশি। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি পিপলস ম্যান্ডেট থাকা সরকার দেশের সমস্যাগুলো সমাধানে বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তবে নির্বাচন দেওয়ার আগে দেশে ন্যূনতম কাঠামোগত সংস্কার করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ইতিমধ্যেই সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। শিগগিরই আলোচনা এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে। তবে এই মুহূর্তে কোনো হঠকারি সিদ্ধান্ত দেশের অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
বিএনপি মহাসচিব দেশের জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি হলেও ধৈর্য কম। সরকারে যারা আছেন, তারা ভুল করতেই পারেন, কারণ রাজনীতিতে তাদের অভিজ্ঞতা সীমিত। এ অবস্থায় অতিবিপ্লবী চিন্তা-ভাবনা বা হঠকারিতা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
তিনি আওয়ামী লীগের আমলে কথা বলার স্বাধীনতার অভাবের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, এখন দেশে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ তাদের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামতে পারছে। তবে সবাইকে বুঝেশুনে পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ধৈর্য এবং নেতৃত্ব দেশের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। তিনি কোনো কিছু তাড়াহুড়ো করে করেননি; বরং সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য সময় নিয়েছেন। আমাদেরও একই পথে এগোতে হবে এবং ধীরে ধীরে কাঠামোগত পরিবর্তনের দিকে যেতে হবে।
তিনি বলেন, রোমান্টিসিজম বা বিপ্লবের প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ দিয়ে সমাজে স্থায়ী সমাধান আনা যায় না। আমাদের ধাপে ধাপে কাজ করতে হবে এবং একটি গণতান্ত্রিক কাঠামো দাঁড় করাতে হবে, যাতে দেশের অগ্রগতির পথ সুগম হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির মনজুরে এলাহী এবং মাহদী আমিনসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।