আওয়ামী লীগের দুর্নীতির চিত্র ফুটে উঠেছে শ্বেতপত্রে-তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: রবিবার ৮ই ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:৫৭ অপরাহ্ন
আওয়ামী লীগের দুর্নীতির চিত্র ফুটে উঠেছে শ্বেতপত্রে-তারেক রহমান

আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে দুর্নীতি এবং অর্থপাচারের চিত্র তুলে ধরতে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে হাসিনা সরকারের আমলে দেশের অর্থনীতির দুরাবস্থা এবং দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অভিযোগ করেছেন যে, সরকার দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে এক দুর্দশার মধ্যে ফেলে দিয়েছে এবং লোপাটকৃত অর্থ দ্রুত ফেরত আনার দাবি জানিয়েছেন।


রোববার (৮ ডিসেম্বর) এক সামাজিক পোস্টে তারেক রহমান বলেন, "শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে হাসিনা সরকারের আমলে অভূতপূর্ব দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে, যা দেশের অর্থনীতির দৈন্যদশা প্রকাশ করে। হাসিনা সরকার যে চোরতন্ত্র কায়েম করেছিল, এই প্রতিবেদনে সেটাই পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।"


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে প্রায় ২৪০ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করা হয়েছে। পাশাপাশি, ২৯টি বড় উন্নয়ন প্রকল্পের নামে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার লোপাট হয়েছে। প্রতিবেদনে এও দাবি করা হয় যে, কুইক রেন্টাল প্রকল্পগুলি আসলে জনগণের অর্থ জিম্মি করে দুর্নীতিবাজদের পকেট ভারী করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। 


তারেক রহমান আরো বলেন, "দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।" তিনি বিএনপির ৩১ দফার সংস্কার প্রস্তাবের উল্লেখ করে জানান, ১৩তম দফায় কার্যকরী দুর্নীতি দমন কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে, যা জনগণের অর্থের যথেচ্ছ ব্যবহারের বিরুদ্ধে কাজ করবে এবং জবাবদিহিতার জন্য কাঠামো তৈরি করবে।


এছাড়া, তারেক রহমান দেশের অর্থনীতির সঠিক পরিচালনার জন্য বিএনপির ১৫তম দফার সংস্কার প্রস্তাবের কথাও তুলে ধরেন। এতে বলা হয়েছে, একটি অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে এবং দুর্নীতি বন্ধ করবে।


শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিএনপি নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, বিশেষ করে লোপাটকৃত অর্থ উদ্ধার এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিচার করার বিষয়ে। তাদের দাবি, অবিলম্বে এসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যেন দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও জনগণের স্বার্থ রক্ষিত হয়।