ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় সংঘটিত সংঘর্ষে নিহত ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা ৮৯০ জন নিশ্চিত করেছে। এই মৃত্যুর মধ্যে সেনা সদস্য, কর্মকর্তা, পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
শুক্রবার ইসরাইলের যুদ্ধ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামাসের ‘আল আকসা স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযানে ১,২০০ জনেরও বেশি ইসরাইলি সেনা ও নাগরিক নিহত হয়। এই অভিযানটি ইসরাইলের জন্য একটি অভূতপূর্ব আক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
অভিযানের প্রতিক্রিয়ায়, ইসরাইল গাজা অঞ্চলে সামরিক অভিযান তীব্র করে। এর ফলে গাজার অবরুদ্ধ এলাকায় প্রায় ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখেরও বেশি আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি গাজা উপত্যকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
এই ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ চালানোর অভিযোগ ওঠে। ইসরাইলি সরকার জানায়, সংঘর্ষের কারণে তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং সাধারণ নাগরিকদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমাগত জটিল হয়ে উঠছে।
হামাসের আল আকসা অভিযানটি মূলত দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি ভূমি দখল, নিরীহ বাসিন্দাদের উচ্ছেদ এবং ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি সংগ্রামের অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়।
ইসরাইলি সামরিক অভিযানের ফলে গাজায় ব্যাপকভাবে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু এবং অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে, যা গাজার মানবিক সংকটকে আরও তীব্রতর করে তুলেছে। পরিস্থিতি এতো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে মানবিক সাহায্য এবং শান্তির আহ্বান জানানো হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার ও রাজনৈতিক নেতা এ সংঘাতের সমাধানে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছেন, তবে এখনও পর্যন্ত একটি স্থায়ী সমাধানের পথ প্রশস্ত হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।