ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যার হাসপাতালে গত ১৬ দিন ধরে কোনো তত্ত্বাবধায়ক নেই। এর ফলে হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, ডা. সৈয়দ রজাউল ইসলাম, ১৯ আগস্ট থেকে ১০ দিনের ছুটিতে যাওয়ার পর থেকে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নতুন করে কোনো তত্ত্বাবধায়ক পদায়ন না করায় হাসপাতালটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
বৃহৎ ছাত্র আন্দোলনের চাপের মুখে ডা. রজাউল ইসলাম ছুটিতে গেলে হাসপাতালের বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ আটকে যাচ্ছে। জানা গেছে, হাসপাতালটির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং খাদ্য দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসার পর আন্দোলনকারীরা তাকে ছুটিতে পাঠাতে বাধ্য করেন। তবে ছুটি শেষে তিনি হাসপাতালে ফিরতে পারেননি, যার ফলে অন্য কর্মকর্তাদের ওপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমানে সাময়িক দায়িত্ব পালন করছেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের পাশাপাশি অন্যান্য প্রশাসনিক কাজও সামলাচ্ছেন। তবে কর্তব্যরত কর্মচারীরা নির্দেশনার অভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন না, ফলে হাসপাতালের পরিস্থিতি দিনদিন জটিল হয়ে উঠছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ইনডোর ও আউটডোরে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে এখানে ১৩২ জন শিশু, ১০২ জন পুরুষ এবং ৩৩৭ জন নারী রোগী ভর্তি আছেন। রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন এবং তত্ত্বাবধায়ক না থাকার কারণে কর্মীদের মধ্যে ঢিলেঢালা ভাব বিরাজ করছে।
ঝিনাইদহ বস্ত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু হুরায়রা জানান, তত্ত্বাবধায়ক পদে শীঘ্রই নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে শুনেছেন। কিন্তু দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠতে পারে। এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সচিবকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে এবং দ্রুতই নতুন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
এই অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।