খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সংঘাতের পর অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে খাগড়াছড়ি পৌর শহর ও জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, যেকোনো ধরনের সহিংসতা রোধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ সালের ১৪৪ ধারা অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।"
এ নিষেধাজ্ঞার ফলে ওই সময়ের মধ্যে কোনো ধরনের জনসমাবেশ, মিছিল বা গণজমায়েত নিষিদ্ধ থাকবে। প্রশাসন এ সিদ্ধান্তকে জরুরি বলে উল্লেখ করেছে, যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও অবনতি না ঘটে।
বৃহস্পতিবার দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ফলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় লারমা স্কয়ারে অন্তত ৬০টি দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তোলে। স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে মামুন নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। ঘটনার প্রতিবাদে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে সংঘর্ষ লারমা স্কয়ার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই তাদের ক্ষয়ক্ষতির জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। অগ্নিকাণ্ডের ফলে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও প্রশাসনের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনার পর খাগড়াছড়ি শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং প্রশাসন সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।