আ: লীগ নেতা ইকবাল হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাজিদ হিটলার, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার ৩রা জুলাই ২০২৪ ০৯:২০ অপরাহ্ন
আ: লীগ নেতা ইকবাল হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ১০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল আজাদ হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় ৬ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। 


সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল আজাদ হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।বুধবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।  রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি অশোক কুমার দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।


এরআগে সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক হালিম উল্লাহ চৌধুরীর আদালতে হাজির হয়ে আগের দেয়া জামিন বহাল রাখার আবেদন করেন মামলার আসামিরা। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 


বুধবার (৩ জুলাই) মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত। ইকবাল আজাদ সরাইল উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন। ইকবাল আজাদের স্ত্রী উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলি আজাদ বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের  সাধারণ সম্পাদক। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত ৩১২ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।


দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় ইকবাল আজাদ থানা ভবনের কাছে খুন হন। পরদিন তার ভাই এ কে এম জাহাঙ্গীর আজাদ বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।


পরে এ মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম (প্রয়াত), সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক মিয়া (প্রয়াত), তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, যুগ্ম সম্পাদক তৎকালীন সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তৎকালীন কমান্ডার ইসমত আলী, ডেপুটি কমান্ডার আনোয়ার হোসেন, সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী, উপজেলা যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি মাহফুজ আলী, সাবেক সহ-সভাপতি আল ইমরান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল আসাদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানসহ ২৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। আসামিদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন, ছয়জন পলাতক (মধ্যপ্রাচ্যে)।