বড়াইগ্রামে আশিক হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
সুজন কুমার
প্রকাশিত: শুক্রবার ৫ই জুলাই ২০২৪ ০২:৪৭ অপরাহ্ন
বড়াইগ্রামে আশিক হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

নাটোরের বড়াইগ্রামে রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জেরে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিককে কুপিয়ে হত্যা কারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার সকালে উপজেলার চান্দাই বাজারে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিককে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে পরিবার ও গ্রামবাসী এই মানববন্ধন করেন।


এসময় উপস্থিত ছিলেন চান্দাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসুজ্জামান গোলাম, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মুজিবর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াদুদ সরকার, নিহত আশিকের বাবা মিরন সরকার, মা আবিদা সুলতানা, খালা আজেদা সুলতানা, ফুফু আফরোজা বেগমসহ কয়েক’শত এলাকারবাসী।


মানববন্ধনে মিরন সরকার বলেন, গত ১৫ই জুন বিকেলে নিজ পুকুরের মাছ বিক্রয় করে বাড়ি ফিরতে ছিলাম। চান্দাই গ্রামের করিম খাঁয়ের মোড়ে পৌছালে চান্দাই গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে সাহেব আলী (৫৪), নায়েব প্রামনিক (৫৬), জাহিদুল প্রামানিক (৪৫), আব্দুস সোহরাব (৬০), মাহাতাব সরকারের ছেলে ইয়াহিয়া (৪৫), সাহেব আলীর ছেলে শাকিব হোসেন (২২), জাহিদুল ইসলামের ছেলে সুইট হোসেন (২৩), সোহরাব হোসেনের ছেলে কামরুল ইসলাম (৪০), মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সোবাহান (৫৯), মোহাম্মদ সরকারের ছেলে দুলাল হোসেন (৪২) পথরোধ করে মারপিট শুরু। আমাকে আশিক সরকার ও ছোট ভাই মিল্টন সরকার (৩৯), চান্দাই গ্রামের মতিয়ার সরকারের ছেলে হাফিজুর রহমান সজিব (৩৬), আবু সাঈদ খানের ছেলে সুমন খান বাবু (২৭) উদ্ধার করতে আসলে তাদেরকেও মারপিট করে আহত করে।


মিরন সরকার বলেন, নিজ পুকুরে মাছ বিক্রি করতে আসার সময় বিনা অপরাধে আমাকে মারপিট করা হলো। আমাকে উদ্ধার করতে গিয়ে আমার ছেলে মারা গেলো।আমাকে যারা উদ্ধার করতে গেলো তাদের নামেও মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসানো হলো। অথচ প্রচার করা হচ্ছে সরকারি পুকুরে মাছ মারার কারনে সংঘর্ষ হয়েছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।


উল্লেখ্য, গত ১৫ই জুন বিকেলে মাছ বিক্রি করে বাড়ি ফেরার সময় নিহত আশিকের বাবা মিরন সরকারের ওপর অতর্কিত হামলা হয়। এসময় আশিক তার বাবাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন প্রতিপক্ষরা। পরে আহত অবস্থায় আশিককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে গত ৩০ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশিক মৃত্যুবরণ করেন।