তিস্তা ট্রেনে এসে অফিস করেন ইসলামপুরের সরকারি কর্মকর্তারা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইয়ামিন মিয়া- জেলা প্রতিনিধি, জামালপুর
প্রকাশিত: রবিবার ২৪শে মার্চ ২০২৪ ০৫:৪৮ অপরাহ্ন
তিস্তা ট্রেনে এসে অফিস করেন ইসলামপুরের সরকারি কর্মকর্তারা!

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকটি দপ্তরের প্রধানরা তিস্তা ট্রেনে এসে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। এতে সেবা গ্রহীতাদের চরম দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। 


রবিবার দুপুর ১২টায় উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয়, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কার্যালয়, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয় ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয় গুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।


জানা যায়, প্রায় প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবারে তিস্তা ট্রেনে ওই কর্মকর্তারা বাড়ীতে চলে যান। আবার রবিবার তিস্তা ট্রেনে এসে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেন। ইসলামপুর রেলওয়ে স্টেশনে তিস্তা ট্রেন আসতে প্রায় ১টা থেকে ১.৩০মিঃ বেজে যায়। ফলে একদিকে কর্মকর্তারা সরকারের দেওয়া সময় সূচি তোয়াক্কা করছে না, অপরদিকে সেবা গ্রহীতাদেরও পড়তে হচ্ছে বিপাকে। 


এসময় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয়ে আসা সেবা গ্রহীতা র‍্যার-৭ কর্মরত এক ব্যক্তির সাথে। তিনি বলেন, সকাল থেকে এসে বসে আছি কর্মকর্তাদের খোঁজ নাই। শুনলাম বৃহস্পতিবারে তারা বাড়ীতে যায় রবিবারে তিস্তা ট্রেনে এসে অফিস করে। এমন কর্মযজ্ঞ চলমান থাকলে সেবা গ্রহীতাদের অবস্থা কেমন হবে একবার ভাবুন।


কথা হয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ে আসা সেবা নিতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, তিস্তা ট্রেনে এসে অফিস করলে তো আমরা সঠিক সময়ে কোন কাজ করতে পারি না। সরকার অফিসের যে নির্ধারিত সময় দিয়েছে এটা দিয়ে লাভ কি? এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। 


দুপুর দেড়টার সময় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জামান হোসেন চৌধুরীকে অফিসে আগমন দেখা যায়। আগমনের বিলম্বর সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি  শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলাম ডাক্তার দেখানোর জন্য আসতে একটু বিলম্ব হয়েছে। 


তিস্তা ট্রেনে অফিস করার বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মোস্তাফাকে অফিসে না পেয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে আমি তিস্তা ট্রেনে এসে অফিস করি, আর তাতে সমস্যা কি?


এ বিষয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসানকে অফিসে না পেয়ে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি একটি মিটিংয়ে আছি পরে কথা বলেন।


দুপুর ২টার সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটুর অফিস কক্ষের দরজায় তালাবদ্ধ দেখে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, অফিস ফাঁকি দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।