প্রেমিকের সাথে পালিয়ে বিয়ে করার প্রতিশোধ নিতে বরের বাড়িতে হামলা, নাঙ্গলকোট থানায় অপহরণ মামলা ও বিষ প্রয়োগ করে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে কনের বাবা উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম টিপু ও চাচা ইসমাইল হোসেনসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো ছয়-সাতজনের বিরুদ্ধে। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা আজ বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বক্সগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের মৃত মুন্সী মিয়ার ছেলে রবিউল (২৩) ও একই গ্রামের জাহাঙ্গীরের মেয়ে বিবি মরিয়ম (১৮) পালিয়ে গিয়ে চলতি বছরের জুলাই মাসে কোর্ট এফিডেভিডের মাধ্যমে ও পরে কাজি অফিসে গিয়ে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন।
বিয়ের বিষয়টি জানার পর মরিয়মের বাবা জাহাঙ্গীর আলম টিপু বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় বর রবিউল হোসেন, তার ভাই আমির হোসেন, মোস্তফা ও বোন তাজনেহার বেগমকে আসামি করা হয়।
মামলার পর গত ১১ আগস্ট বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে বরের বড় ভাই মোস্তফাকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেন মরিয়মের বাবা জাহাঙ্গীর আলম টিপু ও চাচা ইসমাইল হোসেন। আটকের দুই দিন পর আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন মোস্তফা।
এদিকে মামলার আসামি বরের পরিবারের লোকজন বাড়িতে না থাকায় গতকাল সোমবার রাতে জাহাঙ্গীর আলম টিপু ও চাচা ইসমাইল হোসেন সাত-আটজন লোক নিয়ে বর রবিউলের বাড়ি ভাঙচুর করেন ও পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় এক লাখ টাকার মাছ নিধন করেন।
বরের দুবাইপ্রবাসী ভাই আমীর হোসেন বলেন, ‘প্রেম করে আমার ভাই রবিউলের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেছে আমাদের গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম টিপুর মেয়ে বিবি মরিয়মকে। এ ব্যাপারে আমরা পরিবারের অন্য কেউ কিছুই জানি না। তারা দুজন পালিয়ে যাওয়ার পর জাহাঙ্গীর আলম টিপু ও তার ভাই ইসমাইল হোসেন দফায় দফায় আমাদের বাড়িঘরে হামলা, আমাদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা ও আমাদের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ নিধন করে ফেলে।
আমরা এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ ও আমাদের জীবনের নিরাপত্তা দাবি করছি।’
মেয়ের বয়স ১৩ বছর সাত মাস দাবি করে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম টিপু বলেন, ‘তাদের বাড়িতে হামলা, মাছ নিধন এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। তারা আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় আমি তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেছি।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাঙ্গলকোট থানার উপপরিদর্শক উজ্জ্বল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি ফারুক হোসেন বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।