ডাচ-বাংলা ব্যাংকের উদ্ধারকৃত টাকায় গড়মিল !

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ১১ই মার্চ ২০২৩ ১০:২২ পূর্বাহ্ন
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের উদ্ধারকৃত টাকায় গড়মিল !

রাজধানীর উত্তরায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ডাকাতির একটি অংশ উদ্ধার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। উদ্ধারের পর প্রায় ৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে গরমিল দেখা দেয় টাকা গণনার পর। তুরাগ থানা থেকে জানানো হয়, উদ্ধার করা টাকার পরিমাণ নিয়ে ডিবি যা বলেছে, তা সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে উদ্ধার করা টাকার পরিমাণ তিন কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার।


গতকাল শুক্রবার পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পাঁচ-ছয়জন কর্মকর্তার সামনে উদ্ধার করা তিনটি ট্রাংক খোলা হয়। পরে গুনে পাওয়া যায় তিন কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতেই এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। মানি প্ল্যান্ট লিংকের পরিচালক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে তুরাগ থানায় মামলাটি করেন।


উদ্ধার করা টাকার বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল টাকা উদ্ধারসহ ছিনতাইকারীদের ধরা। ছিনতাই হওয়া চারটি ট্রাংকের মধ্যে তিনটি আমরা দ্রুত সময়ে উদ্ধার করি। উদ্ধারের পরই ডিএমপির উত্তরা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছি।’ 


তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যখন গাড়িসহ টাকা উদ্ধার করেছি, তখন ট্রাংকগুলো লক ছিল। ট্রাংকের চাবি ছিল সিকিউরিটি কম্পানির কাছে। ট্রাংকগুলো তুরাগ থানায় নেওয়ার পর সিকিউরিটি কম্পানির মালিকদের কাছ থেকে চাবি এনে টাকা গোনা হয়। আমরা ট্রাংক উদ্ধার করেছি, কিন্তু টাকা গুনিনি। উদ্ধারের পর আনুমানিক বলা হয়েছিল ৯ কোটি টাকা। টাকার সঠিক পরিমাণ উত্তরা বিভাগের পুলিশ বলতে পারবে।’


উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ নিয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) বদরুল হাসান বলেন, ‘টাকা উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। পরিমাণ তারাই বলতে পারবে।’


তুরাগ থানার ওসি মওদূত হাওলাদার বলেন, ‘ছিনতাই করা চারটি ট্রাংকের মধ্যে ডিবি তিনটি উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে একটি ছিল খালি।’


উদ্ধারের পর ডিবি ৯ কোটি টাকা উদ্ধারের কথা জানিয়েছিল কিভাবে—এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘তখন ডিবি আনুমানিক বলেছিল। কারণ কর্তৃপক্ষের সামনে


তাদের কাছে থাকা চাবি দিয়ে তালা খুলে টাকা গণনা করা হয়। গণনার পর ট্রাংকে তিন কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।’


উদ্ধার হওয়া টাকার বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ছিনতাই হওয়া টাকার মধ্যে যে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলো এখনো আমরা পাইনি। উদ্ধার করা টাকা থানায় রয়েছে। উদ্ধারের পর পুলিশ আমাদের সামনে ট্রাংক খুলে টাকা গুনেছে। গণনা অনুযায়ী উদ্ধার করা টাকারপরিমাণ তিন কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার।’


আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি বাকি টাকা উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। তুরাগ থানা পুলিশ জানায়, আটক সাতজনের মধ্যে পাঁচজন টাকা বহনকারী প্রতিষ্ঠানের। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কর্তৃপক্ষের জিম্মায় দিয়ে দেওয়া হবে। অন্য দুজন হচ্ছেন চালক। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।