একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে দেশের ৬ জন ছিলেন গ্ৰন্থাগারিক। এদেরকে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। গত ২ ডিসেম্বর ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে বাংলাদেশ গ্ৰান্থাগারিক ও তথ্যায়নবিদ সমিতি (বেলিড) এর আয়োজনে এ সম্মাননা দেয়া হয়।
এতে প্রধান অতিথি আঃ. ক. ম. মোজাম্মেল হক ওই গ্রন্থাগারিক ৬ মুক্তিযোদ্ধাকে উত্তরীয় ও ক্রেষ্ট প্রদান করেন। এদের মধ্যে শেরপুর জেলা বর্তমান সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও গ্রন্থাগার সমিতির শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান। তিনি একাত্তরে ১১ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন এবং ৭ ডিসেম্বর শেরপুর অঞ্চল হানাদার মুক্ত হলে ভারতের তুরা থেকে শেরপুর শহরে ফিরে আসেন। সেদিন মিত্রবাহিনী প্রধান জগতসিং অররা শেরপুর পৌর পার্ক মাঠে এসে শেরপুর অঞ্চল মুক্ত ঘোষনা করেন। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামানসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা পৌর পার্কে যোগদেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আখতারুজ্জামান সর্বশেষ রামপুরাস্থ বাংলাদেশ টেলিভিশনে গ্রন্থাগার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বর্তমান শেরপুর সরকারী কলেজের লাইব্রেরীয়ান, এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাটালগার থাকার পর সর্বশেষ শেরপুরে এসে ডা. সেকান্দর আলী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে চাকুরি করেন।
বর্তমানে তিনি তার আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া তিনি একাধারে তৎকালে বাংলাদেশ বেতারে সংবাদদাতা, দৈনিক বাংলার বানীর জেলা প্রতিনিধি, স্থানীয় সাপ্তাহিক জয় এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।