প্রকাশ: ৭ নভেম্বর ২০২২, ১:১০
কুষ্টিয়া জেলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) রোকশানা খানমকে (৫২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (০৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং ডি ব্লকের ২৮৫ বাসার দ্বিতীয় তলায় তার শয়ন কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত রোকশানা খানম একা ওই বাসায় থাকতেন। তার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান যশোর চৌগাছা উপজেলা এলজিইডি অফিসের হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকায় তিনি যশোর থাকতেন।
নিহত রোকসানার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ১৯৯৭ সালে আমাদের বিয়ে হয়। তবে আমাদের কোনো সন্তান নেই। তারপরেও আমাদের পারিবারিকভাবে কোনো কলহ বা মনোমালিন্য ছিল না। রোকশানা চাকরি করতো তাই সে কুষ্টিয়ায় এবং আমি যশোর থাকতাম। গত রাতে তার সঙ্গে আমার কথা হয় যে, সকালে বিদ্যালয়ের কাজে যশোর শিক্ষা বোর্ডে যাবে। আমি সোমবার সকাল ৯টার দিকে ফোন দিলে সে ফোন রিসিভ করেনি। পরে ভাতিজা নওরোজ কবির নিশাত আমাকে ফোন দিয়ে বলে ফুপুর রুম ভেতর থেকে আটকানো এবং ডাকলে কোনো সাড়া দিচ্ছে না। তারপর তারা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে দেখে রোকশানা বিছানার ওপরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
রোকশানার ওই বাসার ৬য় তলায় থাকেন রোকশানার ভাইয়ের পরিবারের লোকজন।
রোকশানার ভাতিজা নিশাত জানান, সকালে তার ফুফুর ফ্ল্যাটে গিয়ে ডাক দিলে তিনি কোনো উত্তর দিচ্ছিলেন না। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। ঘরের মেঝেতেও রক্ত ছিল।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল জানান, সকালে স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। তবে কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড সেটা এখনো জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য জেলা পুলিশের পাশাপাশি সাইবার ইউনিট শাখা, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব, সিআইডি ও পিবিআই কাজ করছে।
পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।