সরাইলে গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, বাড়ছে রোগী!

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো: তাসলিম উদ্দিন, উপজেলা প্রতিনিধি সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশিত: শনিবার ১৬ই অক্টোবর ২০২১ ০৪:২৭ অপরাহ্ন
সরাইলে গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, বাড়ছে রোগী!

সরাইলে কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড গরম পড়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। পাশাপাশি আকাশে কড়া সূর্য থাকায় অতিষ্ঠ জনজীবন। এতে কর্মক্ষেত্রে নেমে এসেছে স্থবিরতা, অস্বস্তিতে রয়েছেন শ্রমজীবীরা। সরাইল উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।বাড়তেই পথে-ঘাটে কমে যাচ্ছে লোকের সংখ্যা। তাপপ্রবাহের জেরে ঘেমেনেয়ে একাকার মানুষ। তার মধ্যে আছে বিদ্যুতের জ্বালাতন। এই আছে বিদ্যুৎ নাই আবার।কাজের সূত্রে সারা দিনের জন্য শ্রমিকরা  রাস্তায় থাকতে হচ্ছে, তাদের অবস্থা তো দফারফা।


সরাইলে সারা দিন রোদের তীব্রতা এতটাই বেশি যে, মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। সরাইল সরকারি  হাসপাতাল সূত্রে সরেজমিনে জানা যায, বৃহস্পতিবার আউটডোরে রোগের সংখ্যা ছিল ৪ শত ৩২ ও আজ শনিবার রোগীর সংখ্যা- ৪ শত ৩ জন। গতকাল হাসপাতালে রোগীর ভর্তি সংখ্যা- ৪৫ আজ শনিবার  ভর্তির সংখ্যা -৪৪ জন রোগী বিভিন্ন রোগে নিয়ে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। এদিকে জানা যায়, কয়েক দিনের গরমের কারণে রোগের প্রভাব বেশি। বিশেষ করে গরমে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।বছরের তুলনায় এবারে অক্টোবর মাসে গরম বেশি পড়ছে। ফলে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন।


"আমার ছোট বাচ্চা। বড়রাই গরম সহ্য করতে পারছি না। সেক্ষেত্রে ছোট বাচ্চা নিয়ে খুব সমস্যা হচ্ছে," বলছিলেন সরাইলের একজন বাসিন্দা রুমা বেগম।কতটা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তা জানাতে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি বাচ্চার মা বলেন, "একবার গরমে ঘামছে আবার মুছিয়ে দিচ্ছি। এটাতে ঠান্ডা-গরম লেগে বাচ্চার শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছে।"এ শিশু বাচ্চার মা'র মত গরমে ভুক্তভোগী অনেকেই।


সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ কর্মকর্তা ডা. মো. নোমান মিয়া এ প্রতিনিধিকে বলেন,কয়েকদিন ধরে গরমের প্রভাবে রোগী ভর্তির হার বেড়েছে। প্রতিদিন শিশু ও বয়স্ক রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বেশি। গত দুই দিনে  রোগী হাসপাতালে ভর্তি সংখ্যা ছিল বেশী।


তিনি আরো বলেন, ভাইরাসজনিত জ্বর, ডায়রিয়া, সর্দি-কাঁশি শিশুদের বেশি আক্রমণ করছে। তাই গরমে বাইরে বের না হওয়াই ভাল। এছাড়া গরমের আগে জরুরি কাজ শেষ করা উত্তম।ডা.মো. নোমান মিয়া তিনি বলেন, রোগ থেকে রক্ষা পেতে বিনা কারণে বাইরে না যাওয়া, প্রচুর পরিমাণে পানি পান, ফলের রস পান ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।