হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মোংলা উপজেলার ৩৭টি মন্দির মন্ডপে ১১ অক্টোবর সোমবার ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে শুরু হচ্ছে বর্ণাঢ্য আয়োজন।পৌর এলাকার কয়েকটি মন্দির ঘুরে দেখা গেছে প্রতিমা বানানো এবং সাজসজ্জার কাজ সম্পন্ন করেছেন পুজা উদযাপন কমিটি।
বটতলা পূজা মন্ডপের স্বেচ্ছাসেবক অনুপ কুমার অধিকারী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানতে সরকার যে ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে আমরা সেগুলো যথাযথ মানার চেষ্টা করব। বিশেষ করে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, স্যানিটাইজার এগুলো থাকবেই। তারপরেও তিন ফুট দূরত্ব মানার চেষ্টা করব।
আরাজী মাকোড়ডোন মন্দিরে গিয়ে দেখা গেছে, পূজারি ও দর্শনার্থীরা প্রতিমা দেখতে আসছেন। তবে প্রতিমাকে সুন্দর করে সাজিয়ে কাপড়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। জানতে চাইলে আয়োজক কমিটির সদস্যরা বলেন, প্রতিমা সাজানোর কাজ সম্পন্ন করেছি। ১১ অক্টোবর সোমবার থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।মন্দিরের এক পূজারি জতিন চন্দ্র রায় বলেন, এটিই সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এ উৎসব আনন্দের একটি উপলক্ষ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে পুজা উদযাপনে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় সাংসদ ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের উপস্থিতিতে মন্দিরগুলোতে সরকারী অনুদান দেয়া হয়েছে। পুজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দদের সাথে বৈঠক করে তাদেরকে করোনা বিধি নিষেধ মানাসহ নানা দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, পূজাস্থলে কেউ মাতলামী করে পরিবেশ নষ্ট এবং ইভটিজিং করলে তাদেরকে কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবেনা। সকলে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে পূজা উদযাপন করবেন, কোথাও কোন সমস্যা মনে হলে আমাকে কিংবা ট্রিপল নাইনে কল করবেন। তিনি আরো বলেন, পূজায় নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদেরকেই বজায় রাখতে হবে, পুলিশ তো আছেই। প্রতিটি মন্দির-মন্ডপ এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক ও আনসার সদস্যের পাশাপাশি থাকবে পুলিশের টহল টিম। ঝুঁকিপূর্ণ ৪টি মন্দিরে থাকবে প্রশাসনের বাড়তি নজরদারি।শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হবে আজ ১১ অক্টোবর ষষ্ঠীর মাধ্যমে এবং শেষ হবে ১৫ অক্টোবর বিজয় দশমীর মাধ্যমে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।