নদী গর্ভে বিলিন বিদ্যালয়; বাঁধের এক ঘরে চলছে পাঠদান

নিজস্ব প্রতিবেদক
এহসান বিন মুজাহির থানা প্রতিনিধি শ্রীমঙ্গল , মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: সোমবার ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:২৩ অপরাহ্ন
নদী গর্ভে বিলিন বিদ্যালয়; বাঁধের এক ঘরে চলছে পাঠদান

নীলফামারীর ডিমলায় সম্প্রতি তিস্তা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের পূর্ব ছাতুনামা মৌজার আমিন পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। দীর্ঘদিন পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ায় এখন বাধ্য হয়েই পাঠদান কার্যক্রম চলছে বাঁধের(গ্রাম রক্ষার জন্য নির্মিত স্পার) উপর নির্মিত অস্থায়ী একটি ঘরে। ফলে এই ঘরেই গাদাগাদি করে বাধ্য হয়েই ক্লাশ চালাতে হচ্ছে শিক্ষকদের।


জানা যায়, এই প্রতিষ্ঠনটিতে ১ম থেকে ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত মোট ১০৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আর তাদের পাঠ দানের জন্য রয়েছে ৩ জন শিক্ষক। কিন্তু শ্রেণী রুমের অভাবে একটি রুমেই গাদাগাদি করে পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে একই সাথে। পাঠদানে সঠিক শিক্ষা গ্রহণ থেকে বি ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।


ডিমলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়টি ১৯৯১ সালে পূর্ব ছাতুনামা চরে প্রায় ৪৬ শতক জমির উপর স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ হয়। সে সময় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল প্রায় ২৫০ জন। কিন্তু প্রতি বছরই তিস্তা নদীর ভাঙ্গনের শিকার হয় ওই এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা। বিদ্যালয়টি পাকাকরণের জন্য ১০-১২ বার বরাদ্দ এলোও তা আর করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। ফলে টিন সেড নির্মিত ঘরেই চলছিল পাঠদান কার্যক্রম। বিদ্যালয়টি তিস্তা নদীর চার চারবার ভাঙ্গনের শিকার হওয়ায় স্থান পরিবর্তন করে বিদ্যালয়টি ৩ কিলোমিটার দূরে বাঁধের উপর নির্মাণ করা হয়েছে।


বিদ্যালয়ের নিজস্ব কোন ভবন না থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপর নির্মিত টিনের দো-চালা ঘরেই চলছে পাঠদান। গরমের দিন তীব্র তাপদাহে পাঠদান কার্যক্রম চললেও তিস্তা নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথেই ভাঙ্গন আতংকে বিদ্যালয়টি ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় শিক্ষকরা।


বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: খলিলুর রহমান জানান, স্থায়ীভাবে বিদ্যালয়ের জন্য ভবন নির্মাণ করা খুই জরুরী। এলাকার অভিভাবকরা বলেন এ অবস্থায় ছেলে-মেয়েদের বাসায় বসিয়ে রাখাও সম্ভব নয়, আবার না পাঠিয়েও পারছি না।


এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন বলেন, বিকল্পভাবে বিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। এ ছাড়া বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের নজরে আনা হয়েছে।