
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:৪৮

আরবি হিজরি সালের প্রথম মাস মুহররম। এ মাসের দশ তারিখই হেচ্ছ আশুরা। বহুকাল ধরেই আশুরা নিয়ে রয়েছে নানা কথা ও ঘটনার বর্ণনা। এ নিয়ে রচিত হয়েছে অনেক বই ও ডকুমেন্টরি। যা এখনো হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। তবে এসব বিষয়ে থাকতে সতর্ক। শুধু কারবালার প্রান্তরে হৃদয় বিদারক ঘটনার জন্য আশুরা মর্যাদাবান ও গুরুত্বপূ হয়নি। বরং প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের বর্ণনায় ফুটে ওঠেছে আশুরার মর্যাদা। যে কারণে প্রিয় নবি আশুরার দিনে রোজা রাখার কথা বলেছেন। বেশি বেশি তাওবা-ইসতেগফারের কথা বলেছেন।
আশুরার কিছু প্রচলিত ঘটনা
আশুরা নিয়ে সমাজে রয়েছে নানা ধরনের কথা। যা মানুষের মাঝে বিভেদ তৈরি করছে। এ সব বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। যার কিছু তুলে ধরা হলো-
>> কেয়ামত
অনেকেই বলে থাকেন যে, আশুরার দিনে কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। নির্ভরযোগ্য কোনো বর্ণনায় এ কথা প্রমাণিত নয়। এ দিন কেয়ামত সংঘঠিত হোক আর না হোক, কেয়ামত আসার আগেই মুমিন ব্যক্তির উচিত পরকালের প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
>> আদম আলাইহিস সালামের তাওবা কবুল

>> জুদি পাহাড়ে নৌকা নোঙর
>> হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের জন্ম
হাদিসের বর্ণনায় আশুরার দিনের সুস্পষ্ট ঘটনা
> হজরত মুসা আলাইহিস সালাম ও তার সাথীরা ফেরাউন ও তার সৈন্যবাহিনীর হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আল্লাহ তাআলা সমুদ্রের মধ্যে তাদের জন্য রাস্তা বানিয়ে দেন। যা দিয়ে তারা সমুদ্র পাড়ি দেন। ফেরাউন ও তার বাহিনী মুসা আলাইহিস সালামের কাওমকে তাড়া করে সমুদ্রে তৈরি রাস্তা প্রবেশ করলে সে রাস্তা পানিতে তলিয়ে যায়। আর তাতে ডুবে ফেরাউন ও তার সৈন্যবাহিনী সমূলে ধ্বংস হয়ে যায়।
এছাড়াও কারবালার প্রান্তরে হজরত ইমাম হুসাইনের শাহাদতও ঘটে এ আশুরার দিনে। বিশ্বব্যাপী মানুষ এ দিনটিকে যদিও কারবালার হৃদয় বিদারক ঘটনার জন্য সবেশি স্মরণ করে থাকে।
মুলতঃ বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশনা অনুযায়ী আশুরায় নয় বরং মুহররম মাসে আমল করার কথা বলেছেন। আর আশুরায় রোজা রাখার কথাও বলেছেণ। হাদিসে এসেছে- এ মাসে বেশি বেশি নফল রোজা ও তাওবা ইসতিগফারের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। তাই মাসব্যাপী আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা মুমিন মুসলমানের জন্য একান্ত আবশ্যক।
তাওবা ও ইসতেগফারের জন্য সবচেয়ে উত্তম হলো কুরআন-হাদিসে বর্ণিত ইসতেগফার বিষয়ক দোয়াগুলো বুঝে বুঝে পড়া। এ দোয়াগুলোর মাধ্যমে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করে দেবেন।

উল্লেখ্য যে, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ৯ মুহররম। সে হিসেবে যারা আশুরার দিন রোজা রাখতে চান তারা ৯ তারিখ সোমবার দিবাগত রাত রোজার উদ্দেশ্যে সাহরি খাবে। পরদিন মঙ্গলবার ১০ মুহররম রোজা পালন করবে। আর দিনভর আল্লাহ কাছে তাওবা-ইসতেগফার করবে। আর এ দোয়া বেশি বেশি পড়বে-
ইনিউজ৭১/জেড.এইচ.জুয়েল