রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৫১৬ ভাদ্র, ১৪৩২
logo
ENকনভার্টার
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
    • বিশ্বকাপ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
    • আইন-আদালত
    • সাহিত্য
    • প্রবাস জীবন
    • কৃষি
    • বাংলাদেশে করোনা
    • গনমাধ্যম
    • আবহাওয়া
    • জাতীয় সংসদ নির্বাচন
    • ভাইরাল টপিক
    • অর্থনীতি
    • ব্যবসা ও বাণিজ্য
    • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
    • অপরাধ
    • স্বাস্থ্য
    • ধর্ম
    • বন্যা পরিস্থিতি
    • জনদুর্ভোগ
    • প্রতিবেশী
    • পর্যটন
    • মজার খবর
    • শিক্ষা
    • শেয়ার বাজার
    • চাকুরী
    • লাইফস্টাইল
অনুসন্ধান
logo
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
  • অনুসন্ধান করুন
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা
Logo

সম্পাদক : মোঃ শওকত হায়দার (জিকো)

প্রকাশক : ইনিউজ৭১ মিডিয়া লিমিটেড

হাউজ: নাম্বার ৫৫ , দ্বিতীয় তলা, রোড নাম্বার ৬/এ , সেক্টর - ১২ উত্তরা, ঢাকা - ১২৩০ ।

ফোন: +880 258 053 897, ইমেইল: [email protected] , [email protected]

গোপনীয়তার নীতি

ব্যবহারের শর্তাবলি

যোগাযোগ

আমাদের সম্পর্কে

আমরা

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

স্বত্ব © ইনিউজ৭১.কম

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

ধর্ম

ঘুষ ক্বিয়ামতের দিন বিপদের বোঝা হয়ে ঘুষখোরের কাঁধেই চেঁপে বসবে

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:২৫

শেয়ার করুনঃ
ঘুষ ক্বিয়ামতের দিন বিপদের বোঝা হয়ে ঘুষখোরের কাঁধেই চেঁপে বসবে
ঘুষ
https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg

ঘুষ একটি অন্যায় কাজ- একথা সকলে একবাক্যে স্বীকার করেন। অথচ দুঃখজনক যে, এটি  দেশের সর্বত্র  বহাল তবিয়তে চালু রয়েছে।

এতে একজনের প্রাপ্তি এবং অন্যজনের ক্ষতি ও মনঃকষ্ট, মানুষে মানুষে ঘৃণা, ক্ষোভ, আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা ইত্যাদি নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্য দিয়ে পুরো রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ক্রমে বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হয়।

অপরদিকে সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ অখুশি হন। এর অশুভ পরিণতি এক সময় নিজের উপর ও পরবর্তী প্রজন্মের উপর বর্তায়।

আরও

অর্থনৈতিক সঙ্কট ও ইসলামী সমাধান

অর্থনৈতিক সঙ্কট ও ইসলামী সমাধান

তাই স্বভাবতঃই এর নগ্ন চেহারা ও অশুভ পরিণতি নিয়ে আলোচনা এখন খুবই প্রাসঙ্গিক এবং সময়ের অনিবার্য দাবী।

ঘুষের প্রকৃতি :  সাধারণ ভাবে ঘুষের প্রকৃতি ও পরিচয় প্রায় সকলেরই জানা।

কিন্তু এর সবচেয়ে বড় যাদুকরি  দিক হ’ল- এর সাথে সংশ্লি­ষ্ট  ব্যক্তিরা কেউই এটিকে ঘুষ বলতে চান না।

আরও

কোরআন-হাদিসের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনের ফজিলত

কোরআন-হাদিসের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনের ফজিলত

তারা বরং এটিকে ৫%, ১০% অফিস খরচ, বখ্শিশ, চা-মিষ্টি, হাদিয়া এসব নামে অভিহিত করতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

একেকটি অফিস বা প্রতিষ্ঠানে এক এক নামে এটি পরিচিত।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, নাম বদল করে তারা এ অপরাধকে কিছুটা হালকাভাবে দেখতে চান। এজন্যই বুঝি ওমর বিন আব্দুল আযীয (রহঃ) বলেছিলেন, كانة الهدية فى زمن رسول الله هدية، واليوم رشوة. ‘রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর যুগে উপঢৌকন হাদিয়া ছিল।

আর এখন তা ঘুষ।

১. কিন্তু অহী-র জ্ঞানের ফায়ছালার দিকে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দরবারে একজন কর্মচারী কিছু মাল এনে বলল, এটা আপনাদের (সরকারী) মাল, আর এটা আমাকে দেয়া হাদিয়া। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, সে তার বাবা-মার ঘরে বসে থাকল না কেন, তখন সে দেখতে পেত, তাকে কেউ হাদিয়া দেয় কি-না?

২. অতঃপর এর মন্দ দিক তুলে ধরে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করলেন।

এ থেকে বুঝা যায়, যত সুন্দর নামেই এর নামকরণ করা হৌক কিংবা জনগণ খুশি হয়ে প্রদান করুক অথবা কাজের বিনিময় হিসাবে দিয়ে থাকুক, অর্পিত দায়িত্ব পালনের বিনিময়ে বেতন-ভাতা বাদে অন্যের কাছ থেকে যে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করা হয় তার সবই ঘুষ এবং অন্যায়।

এতে একপক্ষ অধিক লাভবান হয় এবং অন্যপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা ইসলাম ও সাধারণ বিবেক কোনটিই সমর্থন করে না।

আপাতদৃষ্টিতে ঘুষকে একটি মাত্র অপরাধ মনে করা হ’লেও বস্ত্তত এটি বিভিন্ন পথ ও পন্থায় অসংখ্য অপরাধের দায়ে ঘুষখোরকে অভিযুক্ত করে কীভাবে তার ধ্বংস সুনিশ্চিত করে পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে সে সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হ’ল।

১.  যুলুমের দায়ে অভিযুক্ত : ঘুষের মাধ্যমে অন্যের প্রতি আর্থিক ও মানসিক যুলুম করা হয় বলে ঘুষখোররা যালেম হিসাবে অপরাধী। যুলুমের শাস্তি সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, কেবল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে, যারা মানুষের প্রতি যুলুম করে এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়।

তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি’ (শূরা ৪২/৪২)। আরো এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ যালিমদেরকে পসন্দ করেন না (শূরা ৪২/৪০)। মহান আল্লাহ অন্যত্র বলেন, ‘যারা যুলুম করে তোমরা তাদের দিকে ঝুঁকে পড় না।

পড়লে তোমাদেরকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে।

২. এমতাবস্থায় আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন অভিভাবক থাকবে না এবং তোমাদের সাহায্য করা হবে না (হূদ ১১/১১৩)। তিনি আরো বলেন, আর আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালনা করেন না’ (জুম‘আ ৬২/৫)। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, اَلظُّلْمُ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. ‘যুলুম ক্বিয়ামতের দিন অন্ধকার হয়ে আচ্ছন্ন করবে।

৩. হাদীছে কুদসীতে এসেছে, আল্লাহ বলেন, يَا عِبَادِىْ! إِنِّىْ حَرَّمْتُ الظُّلْمَ عَلَى نَفْسِيْ وَجَعَلْتُهُ بَيْنَكُمْ مُحَرَّمًا فَلاَ تَظَالَمُوْا. ‘হে আমার বান্দারা!

আমি আমার নিজের জন্য যুলুমকে হারাম করেছি এবং তোমাদের মধ্যেও সেটিকে হারাম গণ্য করেছি।

সুতরাং তোমরা পরস্পর যুলুম কর না।

৪. ঘুষখোর হারাম ভক্ষণকারী হিসাবে শাস্তিযোগ্য : এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না’ (বাক্বারাহ ২/১৮৮)। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, إِنَّ رِجَالاً يَتَخَوَّضُوْنَ فِىْ مَالِ اللهِ بِغَيْرِ حَقٍّ فَلَهُمُ النَّارُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. ‘নিশ্চয়ই যারা অন্যায়ভাবে আল্লাহর সম্পদ আত্মসাৎ করবে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে জাহান্নাম’।৫ তিনি আরো বলেন, لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ جَسَدٌ غُذِّىَ بِاْلحَرَامِ. ‘হারাম খাদ্য দ্বারা গঠিত শরীর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

৫. আমানতের খিয়ানতকারী : রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া বলেন, مَنِ اسْتَعْمَلْنَاهُ عَلَى عَمَلٍ، فَرَزَقْنَاهُ رِزْقًا، فَمَا أَخَذَ بَعْدَ ذَالِكَ فَهُوَ غُلُوْلٌ. ‘আমি যাকে ভাতা দিয়ে কোন কাজের দায়িত্ব প্রদান করেছি, সে যদি ভাতা ব্যতীত অন্য কিছু গ্রহণ করে তাহ’লে তা হবে আমানতের খিয়ানত’।৭ আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আমানতের খিয়ানতকারীদের পসন্দ করেন না’ (আনফাল ৮/৫৮)। আমানতের খিয়ানত মুনাফেকীর একটি অন্যতম আলামত’।৮ আর মুনাফিকের শাস্তি জাহান্নাম। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে অবস্থান  করবে। আর তুমি তাদের কোন সাহায্যকারী পাবে না’ (নিসা ৪/১৪৫)।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif

৬. ঘুষখোররা সূদের ন্যায় মারাত্মক গোনাহের অভিযোগে অভিযুক্ত ও দন্ডনীয় : রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, مَنْ شَفَعَ لِأَحَدٍ شَفَاعَةً، فَأَهْدَى لَهُ هَدِيَّةً عَلَيْهَا، فَقَبِلَهَا، فَقَدْ أَتَى بَابًا عَظِيْمًا مِنْ أَبْوَابِ الرِّبَا. ‘যে ব্যক্তি কারো জন্য কোন  সুফারিশ করল এবং সেই সুফারিশের প্রতিদান স্বরূপ সে তাকে কিছু উপহার দিল ও সে তা গ্রহণ করল, তবে সে সূদের দরজাসমূহের একটি বড় দরজায়  উপস্থিত হ’ল।

৭. তিনি আরো বলেন, اَلرِّبَا سَبْعُوْنَ جُزْءًا، أَيْسَرُهَا أَنْ يَّنْكِحَ الرَّجُلُ أُمَّهُ. ‘সূদের ৭০টি গোনাহের স্তর রয়েছে। তার মধ্যে নিম্নতম স্তর হচ্ছে আপন মাতার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া।

৮. রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  আরো বলেন,دِرْهَمُ رِبًا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَ يَعْلَمُ، أَشَدُّ مِنْ سِتَّةٍ وَّثَلاَثِيْنَ زِنِيَّةً. ‘কোন ব্যক্তি যদি এক দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) সূদ জ্ঞাতসারে গ্রহণ করে, তাতে তার পাপ ছত্রিশবার ব্যভিচার করার চেয়েও অনেক বেশী হয়।

৯. ঘুষখোর যালিমরা নিরীহ মযলূমদের বদ্দো‘আ  ও প্রতিশোধের  শিকার : রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, وَاتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُوْمِ، فَإِنَّهُ لَيْسَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللهِ حِجَابٌ. ‘তুমি মযলূমের বদ্দো‘আ থেকে বেঁচে থাক।

কেননা মযলূমের বদদো‘আ ও আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা নেই।

১০. অর্থাৎ মযলূমের দো‘আ ব্যর্থ হয় না।

তাছাড়া ক্বিয়ামতের দিন অন্যের সম্পদ ভক্ষণকারী যালিমের নিকট থেকে তার নেকী হ’তে মযলূমের বদলা পরিশোধ করা হবে। নেকী শেষ হয়ে গেলে মযলূমের পাপ যালিমের উপর চাঁপানো হবে। পরিশেষে তাকে নিঃস্ব অবস্থায় জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

১১. ঘুষ লেনদেনকারীরা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক অভিশপ্ত : রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুষ গ্রহীতা ও ঘুষ দাতার উপর লা‘নত বা অভিশাপ করেছেন।

১২. ঘুষ ক্বিয়ামতের দিন বিপদের বোঝা হয়ে ঘুষখোরের কাঁধেই চেঁপে বসবে : রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত  জনৈক কর্মচারীর হাদিয়া গ্রহণের কথা শুনে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি ঘোষণা দিলেন, সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ!

ছাদাক্বার মাল হ’তে স্বল্প পরিমাণও যে আত্মসাৎ করবে, সে তা কাঁধে নিয়ে ক্বিয়ামত দিবসে উপস্থিত হবে। সেটা উট হ’লে তার আওয়ায করবে, গাভী হ’লে হাম্বা হাম্বা শব্দ করবে এবং বকরী হ’লে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করতে থাকবে।

১৩. ঘুষখোররা ইবাদত ও দান-খয়রাত করেও ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত : রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দীর্ঘ সফরে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত, ধুলা মলিন এলোকেশে ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, সে আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করছে, يَا رَبِّ! يَا رَبِّ! وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشَربُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِىَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ. ‘হে আমার প্রতিপালক! হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পোশাক হারাম। আর তার দেহও হারাম উপার্জন দ্বারা গঠিত। তার প্রার্থনা কবুল হবে কিভাবে? অর্থাৎ হারাম ভক্ষণ করায় তার প্রার্থনা কবুল হবে না যদিও মুসাফিরের প্রার্থনা সাধারণত কবুল হয়ে থাকে।

পরিশেষে আমরা কেবল এতটুকু বলতে চাই, ঘুষ মোটেও কোন সাধারণ অপরাধ নয়। বরং এটি অনেক বড় বড় অপকর্মের জন্মদাতা, মানবাত্মার সর্বনাশ সাধনকারী অসংখ্য গোনাহের কাজ৷ 

অতএব হে আল্লাহর বিশ্বাসী বান্দাগণ!

অন্তিম সময়ের নিষ্ফল তওবার অপেক্ষায় না থেকে, এখনই তওবা করে ফিরে আসুন সঠিক পথে, কল্যাণের পথে।

আপনার জন্য জান্নাতের অফুরন্ত  নেয়ামত অপেক্ষা করছে। পার্থিব এ সামান্য ত্যাগের মাঝেই তো সেই মহাসাফল্য নিশ্চিত।

বিবেক জাগ্রত করে সত্যকে উপলব্ধি করে দেখুন, আত্মিক ঐশ্বর্যের কাছে নোংরা আভিজাত্য কিভাবে পরাজিত।

আপনার ঈমানী আলোর উজ্জ্বল ঝলকানিতে চিরতরে অপসারিত হোক সকল পাপের কালো আঁধার।

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সূদ-ঘুষ সহ যাবতীয় পাপকাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।

লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী, সাবেক ইমাম ও খতিব কদমতলী মাজার জামে মসজিদ সিলেট।

সর্বশেষ সংবাদ

কাকরাইলে জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে হামলা, উত্তেজনা বিরাজ

কাকরাইলে জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে হামলা, উত্তেজনা বিরাজ

আন্তর্জাতিক দরপত্রে যাবে মাধ্যমিকের পাঠ্যবই, দেশি শিল্পের উদ্বেগ

আন্তর্জাতিক দরপত্রে যাবে মাধ্যমিকের পাঠ্যবই, দেশি শিল্পের উদ্বেগ

আসন্ন নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করছে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী: বিএনপি মহাসচিব

আসন্ন নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করছে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী: বিএনপি মহাসচিব

বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আগামীকাল

বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আগামীকাল

বিজয়নগরের সংঘর্ষ: জরুরি বৈঠকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা

বিজয়নগরের সংঘর্ষ: জরুরি বৈঠকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা

জনপ্রিয় সংবাদ

৫৩ জেলা ও দায়রা জজের বদলি, আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন

৫৩ জেলা ও দায়রা জজের বদলি, আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন

বলিউডে ফিরছে প্রিয় হরর ফ্র্যাঞ্চাইজি, সানি লিওনের জায়গায় তামান্না

বলিউডে ফিরছে প্রিয় হরর ফ্র্যাঞ্চাইজি, সানি লিওনের জায়গায় তামান্না

বরিশালে লিটু হত্যার মূল আসামি জাকির গাজী ঢাকায় গ্রেফতার

বরিশালে লিটু হত্যার মূল আসামি জাকির গাজী ঢাকায় গ্রেফতার

নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে শঙ্কা, যা বললেন নায়েবে আমির

নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে শঙ্কা, যা বললেন নায়েবে আমির

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবি সমাধানে নিরপেক্ষতার আশ্বাস

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবি সমাধানে নিরপেক্ষতার আশ্বাস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

পরিবেশ সংরক্ষণে ইসলামের নির্দেশনা

পরিবেশ সংরক্ষণে ইসলামের নির্দেশনা

ইসলামে পরিবেশ সংরক্ষণকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বারবার বলেছেন যে পৃথিবীকে তিনি সুন্দর ও ভারসাম্যপূর্ণভাবে সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষকে এর খলিফা করেছেন। অর্থাৎ মানুষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যেন সে পরিবেশকে সুরক্ষা করে এবং এর ক্ষতি না করে। আল্লাহ বলেন, “তিনি আকাশকে উত্তোলন করেছেন এবং তিনি ভারসাম্য স্থাপন করেছেন। যাতে তোমরা ভারসাম্যে ব্যাঘাত না

অর্থনৈতিক সঙ্কট ও ইসলামী সমাধান

অর্থনৈতিক সঙ্কট ও ইসলামী সমাধান

বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সঙ্কট গভীর আকার ধারণ করেছে। মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব এবং আর্থিক বৈষম্য মানুষের জীবনে নানা রকম চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। ইসলাম এই ধরনের সঙ্কট মোকাবিলায় একটি পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে, যা ব্যক্তি ও সমাজের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারে। কুরআন ও হাদিসে অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার, সুদের নিষেধাজ্ঞা এবং সম্পদের সুষম বণ্টনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসলামে অর্থনৈতিক সঙ্কটের অন্যতম কারণ

কোরআন-হাদিসের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনের ফজিলত

কোরআন-হাদিসের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনের ফজিলত

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লামকে কেন্দ্র করে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বহুদিন ধরেই আলোচনা-সমালোচনা হয়ে আসছে। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, প্রাচীন যুগের ইমাম, মুজতাহিদ এবং আলেমরা কোরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াসের মাধ্যমে এ বিষয়ে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তাঁদের মতে, প্রিয় নবীর জন্মদিনে আনন্দ উদযাপন করা শুধু বৈধই নয়, বরং এটি এক উত্তম আমল। কোরআনের সূরা ইউনুসের ৫৭-৫৮ নং আয়াতে আল্লাহ

দয়া ও মানবিকতা: রাসূলের (সা.) জীবন থেকে শিক্ষা

দয়া ও মানবিকতা: রাসূলের (সা.) জীবন থেকে শিক্ষা

রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ছিল মানবিকতা, দয়া এবং ক্ষমাশীলতার সর্বোচ্চ উদাহরণ। তিনি এমন এক সমাজে জন্মেছিলেন যেখানে কঠোরতা, প্রতিশোধ এবং অমানবিক আচরণ ছিল নিত্যনৈমিত্তিক। তবু তিনি মানুষের প্রতি দয়া, অসহায়দের প্রতি সহানুভূতি এবং শত্রুর প্রতিও ক্ষমার মাধ্যমে পৃথিবীকে দেখিয়েছেন প্রকৃত মানবিকতার পথ। আল্লাহর কিতাব কুরআনে বারবার মানবিকতার শিক্ষা এসেছে, যেমন সূরা আনবিয়ায় বলা হয়েছে, “আমি আপনাকে পাঠিয়েছি বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ।” রাসূলুল্লাহ (সা.)

কোরআন-হাদিসে মুমিনদের জন্য সুসংবাদ

কোরআন-হাদিসে মুমিনদের জন্য সুসংবাদ

আজকের দিনে বিশ্বজুড়ে নানা প্রতিযোগিতা, জয়-পরাজয়ের খবর শোনা যায়। তবে ইসলামের দৃষ্টিতে প্রকৃত বিজয় হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা এবং জান্নাতের অধিকারী হওয়া। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা’আলা ঘোষণা করেছেন যে, যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, তাদের জন্য জান্নাত সুসংবাদস্বরূপ নির্ধারিত। সূরা আহকাফে আল্লাহ বলেন, “যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ এবং এরপর সরল পথে অটল থাকে, তাদের কোন ভয় নেই এবং