আমরা ঘুমের মধ্যে প্রায়ই কমবেশি স্বপ্ন দেখে থাকি। কেননা স্বপ্ন হচ্ছে মানবজীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে এই স্বপ্ন বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। কখনো ভালো, আবার কখনো মন্দ। স্বপ্নের এই প্রকারভেদ হাদিসে নববি (সা.) দ্বারা স্বীকৃত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন-
الرُّؤْيَا ثَلاَثٌ فَالرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ بُشْرَى مِنَ اللَّهِ وَالرُّؤْيَا تَحْزِينٌ مِنَ الشَّيْطَانِ وَرُؤْيَا مِمَّا يُحَدِّثُ بِهِ الْمَرْءُ نَفْسَهُ
অর্থাৎ স্বপ্ন তিন প্রকার। যথা: উত্তম স্বপ্ন, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ; ভীতিপ্রদ স্বপ্ন, যা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে; মানুষের কল্পনাপ্রসূত স্বপ্ন, তিনি দিনে বা জাগ্রত অবস্থায় যা কল্পনা করেন, স্বপ্নে তা-ই দেখেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৫০১৯)
তবে মুমিন বান্দারা আল্লাহর পক্ষ থেকে যে উত্তম স্বপ্ন দেখে থাকেন, তা নবুয়তের অংশবিশেষ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন-
رُؤْيَا الْمُسْلِمِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ
অর্থাৎ মুমিনের স্বপ্ন হলো নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের একভাগ। (জামে আত-তিরমিজি: ২২৭০)
এ ক্ষেত্রে অনেকের মনের মাঝে প্রশ্ন জাগে, মুমিনের স্বপ্ন বা সত্য স্বপ্নকে নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ কেন বলা হয়?
এ প্রশ্নের জবাবে আলেমগণ বলেন, নবিজি (সা.) ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন এবং তাঁর নবুয়তের সময়কাল ছিল ২৩ বছর। নবুয়ত লাভের পূর্বেই তিনি সত্য স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। অর্থাৎ নবুয়ত প্রাপ্তির পূর্বে ছয় মাস পর্যন্ত তিনি সত্য স্বপ্ন দেখেছিলেন। এরপর নবুয়ত লাভ করেন ও ওহি নাযিল হতে শুরু করে।
এই ২৩ বছরে ৪৬টি মাস আছে। তাই এ ছয় মাসকে এক ভাগ হিসাব করলে, মোট তেইশ বছরের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ হয়। এ জন্যই হাদিসে উল্লেখ আছে। নেককার মানুষের স্বপ্ন নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগের সমান।’
আল্লাহ তাআলা আমাদের বেশি বেশি উত্তম স্বপ্ন দেখার তৌফিক দান করুন, আমিন!
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।