সব কাজে আল্লাহর ওপর ভরসা করার ফজিলত

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ মে ২০২২, ১৬:৪১

শেয়ার করুনঃ
সব কাজে আল্লাহর ওপর ভরসা করার ফজিলত

সব কাজে আল্লাহ তাআলার উপর নির্ভরশীল হওয়ার নির্দেশ দেয় ইসলাম। তাওয়াক্কুলের প্রকৃত অর্থ হচ্ছে, দ্বীন ও দুনিয়ার কাজে কল্যাণ পাওয়া এবং অনিষ্টতা থেকে দূরে থাকার জন্য আল্লাহর তাআলা উপর ভরসা করা। যারা আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করবে; আল্লাহ তাআলা তাদেরকে নিজ জিম্মায় রিজিক দান করবেন। হাদিসে পাকে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনই চমৎকার ঘোষণা দিয়েছেন।

সব ক্ষমতার উৎস মহান আল্লাহ। তিনি ছাড়া মানুষকে কেউ কোনো কিছু দিতে পারে না। তাই সব কাজে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন-

فَاِذَا عَزَمۡتَ فَتَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ الۡمُتَوَکِّلِیۡنَ

’এরপর যখন সংকল্প করবে তখন আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওয়াক্কুলকারীদের ভালবাসেন।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৫৯)

হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ‘তোমরা যদি প্রকৃতভাবেই আল্লাহ তাআলার উপর তাওয়াক্কুল কর; তবে (আল্লাহ) পাখিদের যেভাবে রিজিক দেন সেভাবে তোমাদেরও রিজিক দেবেন। পাখিরা সকালবেলা খালি পেটে বের হয় এবং সন্ধ্যাবেলায় ভরা পেটে (নীড়ে) ফিরে আসে।’ (ইবনে মাজাহ)

মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে এমন কাজ করা যা তার জন্যে উপকার নিয়ে আসে ও তার থেকে ক্ষতি দূর করে। আল্লাহ তাআলা বলেন-

وَ مَنۡ یَّتَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰهِ فَهُوَ حَسۡبُهٗ

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif

‘আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে; আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।‘ (সুরা তালাক : আয়াত ৩)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিনগণ যেন শুধু আল্লাহর উপরই তাওয়াক্কুল করে।’

মনে রাখতে হবে

কোরআন-সুন্নাহর আলোকে মুসলিম উম্মাহর সব কাজ আল্লাহ তাআলার উপর তাওক্কুল (নির্ভরশীল) করতে নির্দেশ দেয়। তাওয়াক্কুলের প্রকৃত অর্থ হচ্ছে- দ্বীন ও দুনিয়ার কাজে কল্যাণ পাওয়া এবং অনিষ্টতা থেকে দূরে থাকার জন্য আল্লাহর তাআলা উপর ভরসা করা। কেননা, আল্লাহ তাআলা ছাড়া কেউ দেয় না, আটকে রাখে না এবং ক্ষতি ও উপকার করে না।

অতএব বান্দা যখন আল্লাহর উপর কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী নির্ভর করতে; মহান আল্লাহ সেসব বান্দাকে ঠিক হাদিসে ঘোষিত পন্থায় রিজিক দান করবেন। অর্থাৎ আল্লাহর পশু-পাখিকে যেভাবে রিজিক দেন; ঠিক মানুষকে এভাবেই রিজিক দেবেন। কোনো মানুষকেই তিনি ক্ষুধার্থ রাখবেন না।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করার তাওফিক দান করুন। চিন্তামুক্তভাবে রিজিক পাওয়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি

https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

দিনের শুরুতে যে দোয়া পড়তেন নবিজি (সা.)

দিনের শুরুতে যে দোয়া পড়তেন নবিজি (সা.)

দিনের শুরুতে ফজরের নামাজের সালাম ফেরানোর পরপর এ দোয়া পড়তেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এ আমলটি প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদার। কেননা মুমিন মুসলমানের তো হালাল রিজিক, উপকারী জ্ঞান, কবুলযোগ্য আমলই জীবনে একমাত্র চাওয়া-পাওয়া। হাদিসের বর্ণনায় দোয়াটি এভাবে এসেছে- হজরত উম্মু সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজরের নামাজ পড়ে সালাম ফিরিয়ে (প্রতিদিন

আল্লাহর পরিচয় ও কর্তৃত্ব: কুরআনের আলোকে ব্যাখ্যা

আল্লাহর পরিচয় ও কর্তৃত্ব: কুরআনের আলোকে ব্যাখ্যা

আল্লাহ কে? এই প্রশ্ন মানবজাতির চিরন্তন অনুসন্ধান। হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী এই বিষয়ে পবিত্র কুরআনের আলোকে তুলে ধরেছেন মহান আল্লাহর পরিচয়, কর্তৃত্ব ও মানুষের প্রতি তার নির্দেশনার প্রকৃত রূপ। কুরআনের সূরা ইউনুসের তৃতীয় আয়াতে আল্লাহ নিজেই জানিয়েছেন, তিনি আসমান-যমীন সৃষ্টি করেছেন এবং বিশ্বজগতের শাসনকর্তা হিসেবে সমাসীন আছেন। তিনি বলেন, সৃষ্টির পর আল্লাহ কোনোভাবেই নিস্ক্রিয় নন বরং তিনি নিয়ন্ত্রণ করছেন প্রতিটি ঘটনার

রমজান শুরু হতে বাকি ১০০ দিন, প্রস্তুতি শুরু মুসলিম বিশ্বে

রমজান শুরু হতে বাকি ১০০ দিন, প্রস্তুতি শুরু মুসলিম বিশ্বে

বছর ঘুরে আবারও ফিরে আসছে পবিত্র রমজান মাস। বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় ইতোমধ্যেই রমজানের প্রস্তুতি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। ইসলাম ধর্মবিষয়ক তথ্যভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ইসলামিক ইনফরমেশন’ তাদের অফিসিয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে—শনিবার (৮ নভেম্বর) পর্যন্ত রমজান শুরু হতে বাকি আছে ১০০ দিন। জ্যোতির্বিদ্যার হিসাব অনুযায়ী, ২০২৬ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রাচ্যে রমজান শুরু হতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিদ্যা সংস্থা Emirates Astronomy Society-এর চেয়ারম্যান ইব্রাহিম

পবিত্র শুক্রবার: রহমত, বরকত ও ক্ষমার বার্তা

পবিত্র শুক্রবার: রহমত, বরকত ও ক্ষমার বার্তা

ইসলামে শুক্রবারকে বলা হয় ‘সপ্তাহের সেরা দিন’। এই দিনে মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের জন্য বিশেষ রহমত, বরকত ও মাফের দরজা খুলে দেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সূর্য উদয় হয়েছে এমন দিনের মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো শুক্রবার। এই দিনে আদম (আ.) সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দিনেই পৃথিবীতে নামানো হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম)। এই হাদিস থেকেই বোঝা যায়,

জুমার দিন: সপ্তাহের ঈদ ও ইবাদতের সর্বোত্তম মুহূর্ত

জুমার দিন: সপ্তাহের ঈদ ও ইবাদতের সর্বোত্তম মুহূর্ত

ইসলামে সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে জুমার দিনকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে। এ দিনকে বলা হয় সপ্তাহের ঈদ। পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদিসে জুমার দিনের বিশেষ ফজিলত, সম্মান, দোয়া কবুলের মুহূর্ত এবং ইবাদতের তাৎপর্য স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। জুমার দিন মুসলমানদের জন্য শুধু জামাতের নামাজ আদায়ের সময় নয়; বরং এটি আত্মার পরিশুদ্ধি, তাকওয়া অর্জন, সামাজিক বন্ধন দৃঢ়করণ এবং আল্লাহর