রমজানের রোজা পালন ও বরকত কামনার মাস রজব। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসজুড়ে আল্লাহর কাছে বরকত চাইতেন এবং রহমতের মাস রমজান পাওয়ার বিশেষ কামনা করতেন।
রজব মাস সম্পর্কে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘বছরে মাস ১২টি। এরমধ্যে সম্মানিত মাস ৪টি। তিনটি মাস ধারাবাহিক- জিলকদ, জিলহজ ও মহররম। আর চতুর্থ মাসটি হলো- রজব। যা (আরবি মাস) জমাদিউল আখির ও শাবানের মর্ধবর্তী মাস।’ (বুখারি)
রজব মাসজুড়ে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশি বেশি বরকতের দোয়া পড়তেন এবং রমজান কামনা করতেন এভাবে-
اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বারাকলানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।‘
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি রজব ও শাবান মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান মাস পর্যন্ত (হায়াত দিন) পৌঁছে দিন।’
অন্য হাদিসে এসেছে- ‘যে ব্যক্তি রজব মাসে (ইবাদত দ্বারা অন্তরের) জমিন চাষাবাদ করল না আর শাবান মাসে (ইবাদতের মাধ্যমে মনের) জমিন আগাছামুক্ত করল না; সে রমজান মাসে (ইবাদতের) ফসল তুলতে পারবে না।’ (বায়হাকি)
উল্লেখ্য যে, ১৪৪৩ হিজরি সনের রজব মাস গণনা শুরু হলো আজ (০৩ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার । সে হিসেবে আগামী ২৬ রজব মোতাবেক ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী পালিত হবে পবিত্র শবে মেরাজ।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রজব ও শাবান মাস জুড়ে বরকত ও রমজান পাওয়ার এ দোয়াটি বেশি বেশি করে পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।