ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে ঢাকা কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারগার থেকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ সময় তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকেও তার সঙ্গে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে তাদের দুজনকে প্রিজন ভ্যানে করে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাশিমপুরের দিকে নিয়ে যায় পুলিশ।
জানা গেছে, সম্রাটকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর তার জন্য আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়। দেশের কারাগারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারগারে। এ কারণেই সম্রাটকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে আরমানকেও পাঠানো হয়। সূত্র জানায়, সম্রাট বড় মাপের গডফাদার। তার রয়েছে বাহিনীও। ক’দিন আগে সম্রাটকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পর তার বাহিনীর লোকজন মুক্তির দাবিতে মিছিল করে।
গত ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটো মামলা দায়ের করা হয়। গত ১৫ অক্টোবর মাদক ও অস্ত্র মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে ১০ দিন তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর গত ২৪ অক্টোবর সম্রাটকে ঢাকার আদালতে ফেরত পাঠানো হয়। পরে তাকে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তখন থেকেই তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। সম্রাটের কার্যালয়ে ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।