একটু অপেক্ষা করুন গরম খবর পাবেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যখন জানাবো তখনই বুঝবেন কী ধরনের খবর। আমাদের সাংগঠনিক সফর শুরু হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলাওয়ারি প্রতিনিধি সম্মেলন হচ্ছে। ২০১২ সালের আগে যেসব জেলা-উপজেলা কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, সেখানে আগে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর অন্যগুলো হবে। আমাদের ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সব শেষ করার টার্গেট রয়েছে।’ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যুবলীগসহ অঙ্গ-সংগঠনগুলোর সম্মেলনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হবে। তিনি ভারত যাওয়ার আগেই এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন। পারফরমেন্সের ভিত্তিতে এবার নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া যাদের ক্লিন ইমেজ ও উজ্জ্বল ভাবমূর্তি আছে তারাই নির্বাহী কমিটিতে আসবেন। আওয়ামী লীগের নতুন এবং পুরনো সদস্যদের সমন্বয়ে নির্বাহী কমিটি গঠিত হবে।’ এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নানাভাবেই নেওয়া যায়। পদ কেড়ে নেওয়াসহ পদাবনতি দেওয়াও সাংগঠনিক ব্যবস্থা।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলের মধ্যে চাঁদাবাজ, ক্যাসিনো পরিচালনাকারী ও ধান্দাবাজদের সম্পর্কে আপনারা এতোদিন লেখালেখি করেননি কেন। আমরা অভয়ের দরজা খুলে দিয়েছি। এখন আপনারা লিখুন। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এ মুহূর্তে অনেক উচ্চতায় অবস্থান করছে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়েই কথা হবে। দুই প্রধানমন্ত্রী অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলবেন। শুধু তিস্তা নয়, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও কথা হবে।’
খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘জামিন পেলে খালেদা জিয়া বিদেশে যাবেন এ কথা বিএনপির যে সদস্য বলেছেন তিনি আমার সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। তিনি আমাকেও একই কথা বলেছেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকেও জানাতে বলেছিলেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। জামিন দেওয়ার এখতিয়ার আসলে আদালতের। আদালতকে জামিন দেওয়ার কথা আমরা কীভাবে বলবো। বিচার বিভাগ তো স্বাধীন।’
সাংবাদিকদের আরেকটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যখন আদালত তাকে জামিন দেবেন তখন পক্ষে-বিপক্ষে কথা হবে। খালেদা জিয়াকে জামিন দেবেন কিনা সেটা বিচারকের বিষয়। খালেদা জিয়ার সঙ্গে তো আমাদের কোনও বিরোধ নেই।’ বিএনপির পক্ষ থেকে বিকল্প কিছু বলেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি বিকল্প কিছুই বলেনি। এছাড়া জামিন নিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করার বিষয়ে খালেদা জিয়ার ইচ্ছাও থাকতে পারে। বিএনপির এমপি হারুন নিজেও প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি বলেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভেতরে ভেতরে ওনারা সরকারের কাছে জামিন চাইলেও বাইরে বলছেন আন্দোলন করে উনারা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেন। আমি চাই তারা আন্দোলন করুক। আমি তো তাদের আন্দোলনের ছিটেফোঁটাও দেখি না। বিদেশে বসে আন্দোলনের কর্মসূচি দিলে আন্দোলন হয় না। যদি আন্দোলন করার সক্ষমতা থাকতো তাহলে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের পর পরই আন্দোলন হতো।’
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।