এরশাদের শূন্য আসনে প্রার্থী হচ্ছেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২২শে আগস্ট ২০১৯ ০৮:১৮ অপরাহ্ন
এরশাদের শূন্য আসনে প্রার্থী হচ্ছেন যারা

রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে চূড়ান্ত মনোনয়ন কে পাবেন তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন দুই দলের নেতা-কর্মীরাসহ সাধারণ ভোটারা। এবার অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে থাকায় প্রার্থী নিয়ে নেতাকর্মীদের এই উৎকণ্ঠা ক্রমেই বাড়ছে। জনগণ বলছেন, এবার আওয়ামী লীগ এ আসনটি জাপাকে ছেড়ে দিলে ভুল করবে। এ আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার এখন উন্নয়ন পক্ষের। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বাছাইয়ে ভুল করলে বড় ভুল হবে। প্রার্থী বাছাইয়ে সতর্ক হতে হবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডকে।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এরশাদ পরিবার থেকে না কি স্থানীয় এলাকা থেকে হবে তা নিয়ে চলছে বিতর্ক। তৃণমূলের কর্মীরা বললেও কোন নেতা মুখ খুলে কারো পক্ষ নিয়ে কথা বলেন না। সবাই কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে আছে। তবে মৌখিক আলোচনায় এরশাদের ভাগনি টুম্পা ও এরশাদের ছেলে সাদ এরশাদের কথা শোনা যাচ্ছে। জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসীরের নাম ও আলোচনায় আছে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে আছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী খালেকুজ্জামান। সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ মনে করেন, তিনি মনোনয়ন পেলে এলাকার অনেক উন্নয়ন হবে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিসিবি পরিচালক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, মেট্রোপলিটন পলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিলন আলোচনার তালিকায় রয়েছেন।

সব দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ আসনটি জাপা চেয়ারম্যান এরশাদের মৃত্যুর পর শূন্য ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। ৯১ সালের পর থেকে এ আসনটি এরশাদের একচেটিয়া দখলে ছিল। তাই জাতীয় পার্টির হাইকমাণ্ড চাইছে এ আসনে এমন একজনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে যিনি আসনটিতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারবেন।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী চৌধুরী খালেকুজ্জামান বলেন, ২০০৭ থেকে পর পর তিনবার রংপুর সদরের এমপি পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলাম। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তে, মহাজোট তথা দেশের স্বার্থে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম। এবার আবার নেত্রীর কাছে দলীয় মনোনয়ন চাইব। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল ইমেজ কমে গেছে তাই মনোনয়ন পেলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত। রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর বলেন, মনোনয়নের ব্যাপারে দলীয় হাইকমাণ্ড সিদ্ধান্ত নেবে। আমি মনোনয়ন চাইব। যিনি দলীয় টিকেট পাবেন তার পক্ষে নিরলস কাজ করব।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব