এরশাদের কবরস্থান নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি শীর্ষনেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ৩রা জুলাই ২০১৯ ১১:০৬ অপরাহ্ন
এরশাদের কবরস্থান নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি শীর্ষনেতারা

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবরস্থান কোথায় হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি দলটির শীর্ষনেতারা। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটার দিকে শুরু হয় জাপার প্রেসিডিয়াম ও এমপিদের যৌথসভা। চলে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী। এতে সভাপতিত্ব করেন জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। সভায় জাপার ৩৮ জন প্রেসিডিয়াম ও এমপিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এরশাদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা ও তার কবরস্থান কোথায় হবে তা নিয়ে হয় দীর্ঘ আলোচনা।  সভার শুরুতেই জি এম কাদের এরশাদের কথা বলতেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে কেঁদে ফেলেন। রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর উপস্থিত প্রেসিডেন্ট এর সূত্র জানায়, সভায় দেশের বাইরে থেকে ভালো চিকিৎসক আনা যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর আগে দুপুর একটায় এক প্রেসব্রিফিংয়ে জি এম কাদের জানান, এরশাদের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। সকালে আমি সিএমএইচে গিয়েছিলাম। তিনি আমার কণ্ঠ শুনে চোখ ও হাত নাড়িয়েছেন।

সভায় উপস্থিত অধিকাংশ নেতারা এরশাদের কবরস্থান নিজস্ব কোনো কেনা জায়গায় পাবলিক প্লেসে করার পক্ষে মত দেন। যদিও কয়েকজন প্রেসিডিয়াম দাবি করেন- এরশাদ সেনানিবাস অথবা আসাদগেটের বিপরীতে সংসদ প্রাঙ্গণে তার কবরের কথা বলেছেন। এ সময় পার্টির অন্য নেতারা এর বিরোধিতা করে বলেন, এরশাদ দেশের সতের কোটি মানুষের নেতা। তার কবরস্থান যদি সেনানিবাসে হয় তাহলে সাধারণ মানুষ জিয়ারত করতে যেতে পারবে না। সূত্র জানায়, সভায় জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও সফিকুল ইসলাম সেন্টু মোহাম্মদপুরের আদাবরে জায়গা কিনে কবরস্থান করার প্রস্তাব দেন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আদাবরে জায়গা না পাওয়া গেলে সাভারে আমার নিজস্ব জায়গা থেকে দুই বিঘা জমি এরশাদের কবরস্থানের জন্য লিখে দিবো।


এরপর প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশিদ পাবলিক প্লেসে এরশাদের কবরস্থান করার দাবি জানিয়ে বলেন, নেতা এরশাদের কবরস্থানের জন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে পাঁচ কোটি টাকা দিবো। তিনি আরো বলেন, স্যারকে যদি চিকিৎসার প্রয়োজনে বিদেশে নেয়া হয়, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের যাবতীয় খরচও আমি বহন করবো। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- এম এ সাত্তার, সাহিদুর রহমান টেপা, শেখ মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভ রায়, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, আজম খান প্রমুখ। সভা শেষে প্রেসব্রিফিংয়ে পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, এরশাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি মূলত মাইলিড প্লাস্টিক সিনডম রোগে আক্রান্ত। সভায় বাইরে থেকে চিকিৎসক আনার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব