‘গত চারদিন ধরে কোনো রকমে জাউ ভাত খেয়ে বেঁচে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার মুখে ঘা হয়ে ফুলে গেছে। জিহ্বা নাড়াতে পারছেন না। তিনি শয্যাশায়ী। এই রমজানে জেলে তার অবস্থা বিপজ্জনক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে।’ সোমবার (২০ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালেয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন, অন্যায়ভাবে ‘গণতন্ত্রের মা’ খালেদা জিয়াকে বন্দি করে গণতন্ত্রকে চূড়ান্তভাবে সমাহিত করেছে এই সরকার। গণতন্ত্রের এই অকাল প্রয়াণে শোক জানাতেও মানুষ ভয় পাচ্ছে। কারণ গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যার রক্তপাতের মাধ্যমে যে পিশাচের রাজত্ব কায়েম হয়েছে, তাতে মানুষ শঙ্কিত। রিজভী বলেন, আইনি-প্রক্রিয়া ও প্রশাসনকে আঁচল বন্দি করে জেলের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে অমানবিক কায়দায় তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে তাকে প্রাণনাশের নীলনকশা বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অভিযোগ করেন, দেশ যে দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে তার প্রমাণ ব্যাংক বিমা, কয়লা-পাথর, শেয়ার মার্কেট গলধঃকরণের পর এখন রূপপুর আনবিক প্রকল্পের সাগর চুরির খবরে দেশবাসী বিস্মিত। উন্নয়নের কথা বলে রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ বাস্তবায়িত করা হচ্ছে মহাদুর্নীতির উপর ভর করে। প্রকল্পে কর্মরত মালি-চালকের বেতন লাখ টাকার কাছাকাছি, যা শুধু নজীরবিহীনই নয়। এটি একটি জাহাজ মার্কা দুর্নীতিরই দৃষ্টান্ত। বিএনপির এই মুখপাত্র দাবি করেন, হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খবরে দুদকের কোনো তৎপরতা নেই। কারণ দুদক বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের দমন এবং ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতি মোছার যন্ত্র হিসেবে কাজ করে আসছে। দেশব্যাপী বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতি ও লুটপাটের যে মহৌৎসব চলছে তাতে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতারা জড়িত বলেই এগুলোর কোনো বিচার হচ্ছে না। এক্ষেত্রে দুদক নখদন্তহীন নিশ্চল নির্বিকার প্রাণীর ভূমিকা পালন করছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির অন্যান্য শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।