প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ–সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেও নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছি মাত্রই, কিন্তু পরিস্থিতি মোটেও সুবিধাজনক মনে হচ্ছে না।
মঙ্গলবার দুপুরে ভোটদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আবিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে ব্যাহত করা হয়েছে। তার দাবি, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতাকে দমন করার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, দুপুরে অমর একুশে হল এবং রোকেয়া হলে শিক্ষার্থীদের হাতে পূরণকৃত ব্যালট দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাগুলো সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন বলেও জানান। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং নির্বাচন কমিশন এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।
ভিপি প্রার্থী জানান, ডাকসুর নির্বাচনী আচরণবিধিতে প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশাধিকারের বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও তার বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হয়েছে। এই ধরনের প্রচারণা নির্বাচনী পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে তিনি দাবি করেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে আবিদুল ইসলাম বলেন, গণমাধ্যমের দায়িত্ব হচ্ছে সত্য তথ্য যাচাই-বাছাই করে প্রকাশ করা। কোনো ধরনের যাচাই ছাড়া সংবাদ প্রকাশ করা হলে তা বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং প্রার্থীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
তিনি আরও বলেন, ডাকসু নির্বাচন শুধু ছাত্ররাজনীতির নয়, দেশের গণতান্ত্রিক চর্চার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে, সেগুলো এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
আবিদুল ইসলাম দাবি করেন, শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকারকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে এবং প্রশাসন তা প্রতিহত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে না। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের আস্থার প্রতিফলন ঘটাতে পারছে না।
ভিপি পদপ্রার্থী শেষে আহ্বান জানান, ডাকসুর নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে সব পক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নইলে গণতন্ত্রের জন্য এ প্রক্রিয়া ইতিবাচক অবদান রাখতে পারবে না।