প্রকাশ: ৬ আগস্ট ২০২৫, ১০:৩০
পাকিস্তানি ট্যাগ আর এদেশে কাজ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব। মঙ্গলবার রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার পোস্টটি ঘিরে ইতোমধ্যে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।
ড. গালিব লেখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দশজন ছাত্র-ছাত্রীকে তিনি দেখতে পান, যারা বামপন্থি একজন নেতাকে অনুসরণ করে স্লোগান দিচ্ছেন—‘সাদিক কায়েম পাকিস্তানি’। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, হাসিনার ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি যে এক ‘পাকিস্তানি’ ট্যাগধারীর হাত ধরেই হলো, তা এই বামদের মুখে পাকিস্তানি আখ্যা দেওয়ার রাজনৈতিক কৌশলকে আরও হাস্যকর করে তোলে।
তার পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, এদেশের তরুণরা মুসলিম আত্মপরিচয়ে ফিরে আসছে—এটি দেখে বামপন্থিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তারা এখন এই পরিবর্তনকে পাকিস্তানপন্থি বলে ট্যাগ করতে চাচ্ছে। অথচ এই ট্যাগ আর বাস্তবে কার্যকর নয় বলেই তিনি মনে করেন।
তিনি দাবি করেন, বামপন্থিরা দীর্ঘদিন ধরে শুধু এই ট্যাগিং-এর রাজনীতিই করে এসেছে। তারা ‘হাসিনা রাজাকার’, ‘খুনি’ এসব বলেই রাজনীতিকে চালিত করেছে। এর বাইরে তারা কোনো নতুন রাজনৈতিক আদর্শ বা কৌশল উদ্ভাবন করতে পারেনি। তার ভাষায়, এই ধরনের তকমা দেওয়া ছাড়া তারা আর কিছু করতে শেখেনি।
ড. গালিব বলেন, দেশের তরুণ সমাজ এখন আত্মপরিচয়, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং নৈতিক নেতৃত্বের সন্ধানে আছে। তাদের এই ফিরে আসা কোনো রাজনৈতিক ট্যাগে আটকে রাখা যাবে না। বরং এসব ট্যাগিং-এর রাজনীতি থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
তার মতে, নতুন প্রজন্ম এখন আর আগের মতো সরল বিশ্বাসে বামপন্থিদের প্রচারণা গ্রহণ করে না। বরং তারা বিশ্লেষণ করে, প্রশ্ন তোলে এবং বিকল্প চিন্তা করতে চায়। এই বাস্তবতাকে বামপন্থিদের বুঝতে হবে।
ড. গালিবের এই মন্তব্যের পর অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন, কেউবা সমালোচনাও করছেন। তবে বিষয়টি যে তরুণ রাজনীতি ও আদর্শিক সংঘাতের নতুন দিক উন্মোচন করছে, তা বলা যায় নিঃসন্দেহে।