প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ১৬:৭
চট্টগ্রামের ২ নম্বর গেট বিপ্লব উদ্যানে সোমবার সকালে এক পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ দাবি করেন, সচিবালয়ে আন্দোলনরত কর্মকর্তারা অতীত সরকারের ঘনিষ্ঠ। এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি বর্তমান সময়ে চলমান সরকারি কর্মচারী আন্দোলনের রাজনৈতিক পটভূমিকে সামনে আনলেন।
তিনি বলেন, যে সকল কর্মকর্তারা সচিবালয়ে এখন বিক্ষোভ করছেন, তারা ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত আগের সরকারকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন জানিয়েছিলেন। এমন বক্তব্যের মাধ্যমে হাসনাত দাবি করেন, সরকারি সংস্কারের পথে যারা বাধা দিচ্ছে, তাদের প্রতি জনগণের আস্থা থাকবে না, জনগণ বিকল্প খুঁজে নেবে।
এদিকে, সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ বাতিলের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো সচিবালয়ে জড়ো হন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। সোমবার সকাল থেকেই বাদামতলা এলাকায় জড়ো হয়ে তারা এই বিক্ষোভ চালিয়ে যান এবং পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মিছিল ও সমাবেশ করেন।
এই অধ্যাদেশকে তারা ‘কালাকানুন’ ও ‘নির্বর্তনমূলক’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে জানান, এটি তাদের স্বাধীনতার পরিপন্থী। তারা সতর্ক করে বলেন, সরকার যদি এই আইন বাতিল না করে, তবে আরো কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।
এর আগে রোববারও সচিবালয়ের মধ্যে বিক্ষোভ করেন তারা। মিছিলটি পুরো সচিবালয় এলাকা ঘুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে এসে থামে এবং সেখানে অবস্থান নেয়া হয়।
সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ নেতৃত্বে কর্মচারীরা বলেন, ১৯৭৯ সালের সরকারি চাকরির বিধান আদালত বাতিল করলেও বর্তমান সরকার নতুন করে তা প্রণয়ন করে বিতর্ক তৈরি করছে।
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রয়োজনে আইন মন্ত্রণালয়ের সব রুম তালাবদ্ধ করে আন্দোলন আরও বেগবান করা হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এই প্রেক্ষাপটে সরকারের উপর চাপ বাড়ছে এবং সচিবালয়ের পরিবেশ ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, যা দেশের প্রশাসনিক কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।