খালেদা জিয়া ফেরায় ঢাকায় জনসমুদ্রের ঢল

খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের আমিরের বিশেষ ফ্লাইটটি মঙ্গলবার সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। বিমানবন্দর এলাকা ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে মাঠে নামানো হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।

নেত্রীর বাসভবন ফিরোজা পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিচ্ছেন দলীয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি থাকছে বিমানবন্দর থেকে লো মেরিডিয়েন পর্যন্ত, ছাত্রদল লো মেরিডিয়েন থেকে খিলক্ষেত, যুবদল খিলক্ষেত থেকে হোটেল র‍্যাডিসন পর্যন্ত। এভাবে প্রতিটি সংগঠনকে নির্দিষ্ট এলাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

অভ্যর্থনার এই আয়োজনে নারী নেত্রীদের উপস্থিতিও ছিল উল্লেখযোগ্য। মহিলা দল গুলশান-২ গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছে।

সকাল থেকেই ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও প্রাইভেট কারে করে আগত নেতাকর্মীরা দলীয় পতাকা হাতে স্লোগান দিতে দিতে শহরে প্রবেশ করেন। অনেকের মাথায় বাঁধা দলীয় রঙের ফিতা, হাতে জাতীয় পতাকা, গলায় নেত্রীর ছবি সম্বলিত ব্যাজ।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেউ যেন ফিরোজা বা বিমানবন্দরে ঢোকার চেষ্টা না করে এবং নির্দেশনা অমান্য না করে। নেত্রীর আগমন ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করলেও পুরো প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন রুহুল কবির রিজভী।

এদিন দলের কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে—নেত্রীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি এবং দেশে ফেরা নতুন করে আন্দোলনের উৎসাহ যোগাবে বলে মনে করছেন তারা।