পটুয়াখালীর লেবুখালীতে বিধ্বস্ত ব্রীজের কারণে জনদুর্ভোগ, পুনর্নির্মাণের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাকিবুল ইসলাম তনু, জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: শনিবার ২১শে ডিসেম্বর ২০২৪ ০৩:৪৪ অপরাহ্ন
পটুয়াখালীর লেবুখালীতে বিধ্বস্ত ব্রীজের কারণে জনদুর্ভোগ, পুনর্নির্মাণের দাবি

পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায় লেবুখালী ভাড়ানী খালের ওপর নির্মিত আয়রন ব্রীজটি তিন বছর আগে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে, যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দা এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ব্রীজটির পুনর্নির্মাণ না হওয়ায় এলাকাবাসীসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকায় পারাপার হতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়া, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে, যা অত্যন্ত বেহাল অবস্থায় রয়েছে।


লেবুখালী হাবিবুল্লা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকার সাধারণ মানুষ দীর্ঘ তিন বছর ধরে বিপদজনক অবস্থায় চলাচল করছেন। ২০০৯ সালে নির্মিত আয়রন ব্রীজটি ২০১৫ সালে একটি কার্গো ধাক্কায় বিধ্বস্ত হলে কিছুদিনের মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মেরামত করলেও ২০২২ সালে আবারও একটি কার্গো ব্রীজের একটি অংশ ধ্বংস করে ফেললে পারাপার বন্ধ হয়ে যায়।


বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জান্নাতী আক্তার বলেন, "ব্রীজটি ভেঙে পড়ায় আমি এবং আমার মতো অনেকেই খেয়া পারাপার করি। এতে জীবনহানির ঝুঁকি থাকে। যদি ব্রীজটি পুনর্নির্মাণ করা হয়, তবে আমাদের জন্য যাতায়াত অনেক সহজ হবে।"


লেবুখালী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান আশ্রাফ বলেন, "বিদ্যালয়ে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। ব্রীজটি ভেঙে যাওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দেয় অথবা খেয়া পারাপার করে বিদ্যালয়ে আসে।"


এলাকাবাসী এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে এলজিইডি এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি প্রদান করলেও ব্রীজের পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, "ব্রীজটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই আমাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তবে এখনো কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।"


এ বিষয়ে পটুয়াখালী এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হোসনে আলী মীর জানান, "ভারানী খালের ব্রীজটি সরিয়ে সেখানে নতুন একটি ব্রীজ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ডিজাইনের কাজ চলছে এবং দ্রুতই টেন্ডার আহ্বান করে নতুন ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।"


স্থানীয় জনগণ এবং শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান কল্পে দ্রুত ব্রীজ নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী।