বিএনপি ক্ষমতার মোহে অন্ধ নয়। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কথা বলছে। এ সরকার যদি দেশকে ভালোবাসে, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, মানুষকে ভালোবাসে তাহলে এ জুলুম-অত্যাচারের পথ পরিহার করে জনগণের কাতারে এসে দাঁড়াক। আমরাতো জনগণের কাতারে আছি। তারপর দেশের ১২ কোটি ভোটার যাকে ভোট দিয়ে বানাবে সে দেশ পরিচালনা করবে। এতে আওয়ামী লীগের ভয় কীসের। ১০ দফা দাবিতে বরিশাল জিলা স্কুল প্রাঙ্গনে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
মঈন খান বলেন, বাংলাদেশে আমরা গণতন্ত্র চাই। আজ আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে। তারা কোনোদিন স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হতে পারে না। আজ আওয়ামী লীগকে জবাবদিহি করতে হবে, কেন তারা সংসদে মাত্র ১১ মিনিটের ব্যবধানে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলে, কেন তারা বাকশাল ও বাকস্বাধীনতা হরণ করেছিল, কেন দিনের ভোট রাতে হয়। এ কথা আমরা বলিনি, বিদেশি পর্যবেক্ষরা বলেছে। আর এতে তাদের গাত্রদাহ হয়েছে।
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বিএনপির ঝড়ের গতি বেড়ে গেছে, আর একটু ঝড় হলে গাছের মতো পড়ে যাবেন। আর বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। আর বাংলাদেশ জাতীয়তাবদী দল এমন একটি দল যারা আপনাদের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া দেশে নির্বাচনও হবে না।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবির জাহিদের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর-বীর উত্তম বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগের শত্রু না, আমরা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। আওয়ামী লীগের শত্রু আওয়ামী লীগ।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, যে জাতি রক্ত দিতে পারে, সে জাতিকে দাবিয়ে রাখা যায় না। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট করতে হবে আমাদের।
এদিকে বড় দুই রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ঘিরে যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।