হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার হত্যার পর বাইডেনের অভিনন্দন

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার ১৮ই অক্টোবর ২০২৪ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার হত্যার পর বাইডেনের অভিনন্দন

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার পর ইসরায়েলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি এই হত্যাকাণ্ডকে ইসরায়েলের জন্য একটি “স্বস্তিদায়ক” ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং এটি চলমান গাজা সংঘাতের অবসানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেও মন্তব্য করেন।


শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) আল জাজিরা দ্বারা প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন বলেন, সিনওয়ারের হত্যাকাণ্ড “রাজনৈতিক নিষ্পত্তির” একটি সুযোগ তৈরি করেছে। গাজার রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গত বুধবার সিনওয়ার নিহত হন। তবে হামাস এখনো এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। 


বাইডেন আরও জানান, ইসরায়েলি সেনারা হামলার সময় সিনওয়ারকে হত্যা করবে এমন পূর্বাভাস পায়নি। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ পরে নিশ্চিত করেছেন যে, সিনওয়ার হত্যার পর তাদের কাছে বিশদ তথ্য এসেছে।


ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, গাজার রাফায় একটি ভবনে হামাসের যোদ্ধাদের গতিবিধি দেখে ইসরায়েলি সেনারা সেখানে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। হামলার পর তারা সিনওয়ারের মতো দেখতে তিনজনের লাশ পায়, যার মধ্যে একজন ছিলেন সিনওয়ার।


বাইডেনের মতে, “এটি একটি ভালো দিন” এবং এ ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে যে, সন্ত্রাসীরা পৃথিবীর কোনো প্রান্তে বিচার থেকে পালাতে পারে না। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সিনওয়ারের মতো হামাসের অন্যান্য নেতাদের অবস্থান শনাক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে। 


বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সিনওয়ার হত্যার পর হামাসের কার্যক্রমে পরিবর্তন আসতে পারে এবং এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক দৃশ্যে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করবে। সিনওয়ার হামাসের সামরিক কৌশলের মূল স্থপতি ছিলেন, এবং তার মৃত্যু সংগঠনের অভ্যন্তরীণ সংকট সৃষ্টি করতে পারে।


এদিকে, গাজায় পরিস্থিতি এখনও অস্থিতিশীল, এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইয়াহিয়া সিনওয়ার হত্যার প্রভাব ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের ভবিষ্যৎ এবং গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়ে আসতে পারে।