চিকিৎসাশাস্ত্রে চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) নরওয়ে থেকে জানানো হয়, ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন যৌথভাবে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করেছেন। তাঁদের মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট ট্রান্সক্রিপশন জিন নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখার জন্য এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
নোবেল প্রাইজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ দুই বিজ্ঞানীর গবেষণায় মাইক্রো আরএনএ’র ভূমিকা এবং জিন নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এই আবিষ্কারগুলি চিকিৎসা বিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে, বিশেষ করে জিন থেরাপি ও চিকিৎসা গবেষণায়।
গত বছর চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ক্যাথলিন কারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যান, যাঁদের উদ্ভাবিত এমআরএনএ প্রযুক্তি করোনার টিকার ভিত্তি গড়ে তুলেছে। নোবেল পুরস্কার ১৯০১ সাল থেকে প্রদান করা হচ্ছে এবং এটি বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে পরিচিত। এটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে, যিনি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করেছিলেন এবং তাঁর সম্পদ থেকে প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য—এই পাঁচটি খাতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য পুরস্কার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আলফ্রেড নোবেলের উইল অনুসারে, ১৯৬৯ সাল থেকে অর্থনীতির ক্ষেত্রকেও নোবেল পুরস্কারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চিকিৎসাশাস্ত্রে এবারের পুরস্কার বিজয়ীদের সাফল্য ও গবেষণা আগামী দিনের চিকিৎসা ক্ষেত্রের উন্নতিতে নতুন উদ্যম যোগাবে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অংশগ্রহণকারী অনেক বিজ্ঞানী এবং গবেষকেরা এ বিজয়ের জন্য অ্যামব্রোস ও রাভকুনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তাঁদের কাজের ফলস্বরূপ সৃষ্ট সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে তাঁদের এই অবদান ভবিষ্যতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে বলে আশা প্রকাশ করছেন সকলেই।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।