রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে টানা বৃষ্টির ফলে নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, নদীপাড়ে আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি - রংপুর
প্রকাশিত: শুক্রবার ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৪৭ অপরাহ্ন
রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে টানা বৃষ্টির ফলে নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, নদীপাড়ে আতঙ্ক

উত্তরাঞ্চলের অস্বস্তিকর গরমের পর টানা দুই দিন বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানির উচ্চতা বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। গতকাল (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিতে রংপুরে ২৪ ঘণ্টায় ১৩০ মিলিমিটার বর্ষণ রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 


বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত বৃষ্টির ফলে রংপুরের নিম্নাঞ্চল এবং নদীর তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে তিন্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা নদীপাড়ের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পানির চাপ সামলাতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে।


আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, শুক্রবার সারাদিনই রংপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে অনেক স্থানে। আগামী দুদিন রংপুর বিভাগসহ তৎসংলগ্ন উজানে অতিভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বজায় থাকবে। ফলে তিস্তা, ধরলা এবং দুধকুমার নদীর পানি সমতল আগামী দুদিন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।


এদিকে, কুড়িগ্রাম জেলার ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি আগামী তিন দিন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টা স্থিতিশীল থাকবে এবং পরবর্তী চার দিন বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।


পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, "অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে, এবং আমরা সঠিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।" 


রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, "আজও (শুক্রবার) দেশের অধিকাংশ জায়গায় দমকা হাওয়া সহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।"


নদীপাড়ে বসবাসকারী মানুষদের সতর্ক থাকার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। রংপুরবাসীকে নিরাপত্তা ও সতর্কতার প্রতি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে, কারণ বর্ষণের কারণে নদীর পানি আরো বাড়তে পারে। 


এভাবে, রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে চলমান বৃষ্টিপাত পরিস্থিতি ও নদীর পানির উচ্চতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশিত হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি কিভাবে পরিবর্তিত হয়, তা নিয়ে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।